কৃষিপণ্যের দাম বাড়ায় মজুতদারদের দায় নেই: প্রতিমন্ত্রী

ঘাটতির কারণেই কৃষিপণ্যের দাম বাড়ে। এতে মধ্যস্বত্বভোগী বা মজুতদারদের দায় নেই বলে মনে করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
রোববার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাজারে একটা ভুল ধারণা আছে মধ্যস্বত্বভোগীরা সব লাভ করে নিয়ে যায়৷ কৃষি ক্ষেত্রে এটা অবাস্তব। যেখানে ৭-৮ জনের সিন্ডিকেশন হয় সেখানে হতে এটা পারে। তেল, চিনিতে হতে পারে। কিন্তু কৃষিপণ্যে হাজার হাজার উৎপাদক, ব্যবসায়ী, মধ্যস্বত্বভোগী প্রত্যেক স্তরে। সেখানে চট করে সিন্ডিকেট করা সম্ভব না।
মধ্যস্বত্বভোগীরা এদেশে অনাদরে আছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। দাম বাড়লেই সব দোষ তাদের ঘাড়ে যায়। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ঘাটতি হলেই পণ্যের দাম বাড়বে। যতই অন্য কথা বলি, ক্রমাগত দাম বাড়লে বুঝতে হবে পণ্যের ঘাটতি আছে। মজুতদাররা পণ্য আটকে রাখে, এটা ভুয়া কথা। মজুতদাররা না থাকলে সারা বছর খাদ্যপণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকবে না। মধ্যস্বত্বভোগীরা না থাকলে ধানকে চাল করবে কে? চালকে মুড়ি করবে কে? তারা বাজার ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
তিনি আরও বলেন, ঘাটতি থেকেই পেঁয়াজসহ অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ে। আর কোনো কারণ নাই। ১৫২টা ফসল উৎপাদন হয় আমাদের এখানে। সবার ভ্যালু চেইন আলাদা। চট করে দোষ দেওয়া ঠিক না। মধ্যস্বত্বভোগীরা যদি এত লাভ করতো তাহলে হাজার হাজার বেকার যুবক মধ্যস্বত্বভোগী হয়ে যেত।
ফসল নষ্টে বীমা হতে পারে না জানিয়ে তিনি বলেন, ফসলের বীমা সরকার করবে না। অনেকেই বলে ফসলের বীমা করতে। বীমা হতে পারে যেখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলে, উৎপাদন নিয়ন্ত্রণাধীন। শিল্প খাতে বীমা হতে পারে। পোল্ট্রি, অ্যাকুয়াকালচারে বীমা হতে পারে। বীমা চালুর দাবি করে সরকারকে বিপুল ব্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারি না।
এসএম/এমএইচআর