বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা ৫০ শতাংশ ঋণ পরিশোধ করলে খেলাপি নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৪ পিএম, ২৮ জুন ২০২২

চলমান বন্যায় যাচাই সাপেক্ষ প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ঋণের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলেই আর খেলাপি হবেন না। এছাড়া করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যবেক্ষণ করে তাদের প্রকৃত অবস্থা জানবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ। তারা যদি প্রকৃতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে কাস্টমার-গ্রাহকের ভিত্তিতে ঋণের ৫০ শতাংশ দিলে তাদের খেলাপি না করলেও অসুবিধা নেই।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পুনরায় বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ বেশ কিছু জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ঋণ বা লিজ বা বিনিয়োগ হিসাব শ্রেণিকরণ এবং আরোপিত সুদ আয়খাতে স্থানান্তর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০২২ হিসাববর্ষের প্রতি তিন মাস শেষে ঋণ হিসাবসমূহের আদায়যোগ্য অর্থের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে আদায় হলে উক্ত ঋণ হিসাবসমূহ অশ্রেণিকৃত হিসেবে প্রদর্শন করা যাবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ গ্রাহকের নগদ প্রবাহ নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করে শুধু প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ নির্দেশনার আওতায় কিস্তি বিলম্বিত করার সুবিধা দেবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত বন্যা কবলিত অঞ্চলসমূহে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) ও কৃষি খাতে বিতরণকৃত ঋণের ক্ষেত্রে ২০২২ হিসাববর্ষের প্রতি তিন মাস সময়ে আদায়যোগ্য অর্থের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে আদায় হয়ে থাকলে, উক্ত ঋণসমূহ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে গ্রাহকরা প্রকৃতই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিনা তা আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজ উদ্যোগে নিশ্চিত হয়ে নেবে।

এক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠান চাইলে ক্ষতিগ্রস্তদের খেলাপি করতেও পারে আবার চাইলে নাও করতে পারবে। এতে খেলাপি করা না করার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপরে।

এ নির্দেশনার আওতায় সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ হিসাবসমূহের ওপর চলতি বছরের ১ এপ্রিল হতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য কোনোরূপ সুদ বা অতিরিক্ত ফি বা চার্জ বা কমিশন আরোপ করা যাবে না। প্রতি ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে কোনো ঋণগ্রহীতা এ নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ঋণ হিসাবের যথানিয়মে শ্রেণিকরণ করে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) রিপোর্ট করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ঋণ হিসাবসমূহের আরোপিত সুদ বা মুনাফা প্রকৃত আদায় সাপেক্ষে আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন-১৯৯৩ এর ১৮(ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো, যা এখন থেকে কার্যকর হবে।

ইএআর/এমপি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।