এসএমই মেলা: শেষ দুইদিন ভালো বিক্রির প্রত্যাশা

রাজধানীতে চলছে দশম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা। ১০ দিনব্যাপী এ মেলা শেষ হবে শনিবার (৩ ডিসেম্বর)। মেলার শেষ দুইদিন (শুক্রবার ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ভালো বিক্রির প্রত্যাশা করছেন মেলার আয়োজক ও উদ্যোক্তারা। মেলার শুরুতেও শুক্র ও শনিবার থাকায় ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
তবে মাঝের কয়েকদিন খুব বেশি জমজমাট ছিল না। একদিকে মাসের শেষ, তার ওপরে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা থাকায় ক্রেতা দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম। পাশাপাশি রয়েছে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব।
উদ্যোক্তারা বলছেন, মেলায় পণ্যের প্রতি গ্রাহকেরা অনেক আগ্রহ থাকলেও এসব কারণে আগের বছরের তুলনায় বেচাকেনা আশানুরূপ হচ্ছে না। তবে শেষ সময় মেলা জমবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
মেলায় সুমনস ফ্যাশনের কর্ণধার স্বপন চক্রবর্তী বলেন, আমারা বিভিন্ন এলাকায় মেলা করে থাকি। সবসময় এ মেলায় খুব ভালো সাড়া থাকে। তবে এ মেলার শুরু মাসের শেষে ও পরীক্ষার সময় হওয়াতে ক্রেতা কম। তারপরেও দ্রব্যমূল্যের বেশি দামের কারণে মানুষের হাতে টাকা নেই। সেগুলোর একটি প্রভাব রয়েছে। তবে আশা করছি, শেষ দুদিন ভালো ক্রেতা পাবো।
এবারের মেলায় ৩৫১টি স্টলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছে। জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় অংশ নেওয়া ৩২৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকছে ফ্যাশনশিল্পের ১৩০টি। এছাড়া রয়েছে খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ৪৫টি, হস্ত ও কারু শিল্পের ৩৮, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩৬, পাটজাত পণ্যের ৩৫, তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবা খাতের আট, হালকা শিল্প পণ্য খাতের ছয়টি, প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি প্রতিষ্ঠান।
গত ২৪ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মেলা শুরু হয়।
এসএমই উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসারে ২০১২ সাল থেকে জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা আয়োজন করছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নয়টি এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় দুই হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা অংশ নিয়েছেন। জাতীয় পর্যায়ে মেলার পাশাপাশি বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে এসএমই পণ্য মেলা আয়োজন করা হয়।
এনএইচ/আরএডি/জিকেএস