আগ্রহ হারানোর শীর্ষে লিব্রা ইনফিউশন

টানা দরপতন কাটিয়ে গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। তবে এর মধ্যেও কিছু প্রতিষ্ঠান হেঁটেছে উল্টো পথে। বিনিয়োগকারীরা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই কমেছে দাম।

শেয়ারের দাম কমার এ তালিকায় নেতৃত্ব দিয়েছে লিব্রা ইনফিউশন। গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের আগ্রহ হারানোর শীর্ষস্থান দখল করে এই কোম্পানিটি। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার শীর্ষস্থান দখল করেছে লিব্রা ইনফিউশন।

আরও পড়ুন: শেয়ারবাজারে বিমার দাপট, নেতৃত্বে প্রগতি ইন্স্যুরেন্স

গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৩০ টাকা ৪০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৪৫ টাকা ৬০ পয়সা। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে যা ছিল ৭৭৬ টাকা।

এক সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম হাজার টাকার ওপরে থাকা লিব্রা ইনফিউশন গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে দরপতনের মধ্যে পড়ে। গত ২২ ডিসেম্বর কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৮৮৩ টাকা ৬০ পয়সা। সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এখন ৭৪৫ টাকা ৬০ পয়সায় নেমে গেছে। অর্থাৎ এক মাসের কম সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম প্রায় দেড়শ টাকা কমেছে।

আরও পড়ুন: বাজার মূলধন বাড়লো দুই হাজার কোটি টাকা

শেয়ারের এমন দাম হওয়া কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের মাত্র ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০১৯ সালেও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। তবে ২০১৮ সালে ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০১৭ সালে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় লিব্রা ইনফিউশন। তার আগে ২০১৬ সালে ২৫ শতাংশ নগদ ও ২০১৫ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

১৯৯৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন মাত্র এক কোট ৫০ লাখ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ১৫ লাখ ১ হাজার ৯২০টি। এর মধ্যে ৩৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫২ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার।

এদিকে, দাম কমে যাওয়ার পরও বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী হননি। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন: নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আহমেদ জাকের কোম্পানি নিষিদ্ধ

লিব্রা ইনফিউশনের পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল জুট স্পিনার্স। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে রেনউইক যজ্ঞেশ্বর।

এছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা রহিম টেক্সটাইলের ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ দাম কমেছে। জিল বাংলা সুগার মিলের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। এছাড়া এমারেল্ড অয়েলের ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, শ্যামপুর সুগার মিলের ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ, উসমানীয়া গ্লাস শিটের ৪ দশমিক ৬২ শতংশ এবং সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ দাম কমেছে।

এমএএস/কেএসআর/এমএস