স্টিম উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি চায় ইউপিজিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৭ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত স্টিম ইপিজেডের ভেতর অবস্থিত অন্যান্য রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করার ক্ষেত্রে উৎপাদন এবং গ্রাহক পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ইউপিজিডি)।

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে দেওয়া চিঠিতে সংগঠনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দিন হাসান রশীদ বলেন, বিদ্যুকেন্দ্রের দক্ষতা বৃদ্ধি, গ্যাসের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং পরিবেশের তাপমাত্রা ও দূষণ কমানোর লক্ষ্যে ইউপিজিডি ঢাকা ইপিজেড এবং চট্টগ্রাম ইপিজেড বিদ্যুকেন্দ্রের এক্সহাস্ট গ্যাসের তাপ বাতাসে না ছেড়ে কো-জেনারেশন পদ্ধতিতে বয়লারে ব্যবহার করে পানি থেকে স্টিম তৈরি করে উৎপাদিত স্টিম ইপিজেডের ভেতরে শিল্পকারখানায় পরীক্ষামূলক সরবরাহ করছে। এতে বিদ্যুকেন্দ্রের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কমেছে পরিবেশ দূষণ। অন্যদিকে যেসব শিল্পকারখানা স্টিম ব্যবহার করছে তাদের স্টিম করার জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস বা ডিজেল দরকার হচ্ছে না।

দক্ষতা বৃদ্ধি ও পরিবেশ দূষণ কমাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহার করা হয় স্টিম প্রযুক্তি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, স্টিমের ফলে কারখানার উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় অবস্থান দৃঢ় হচ্ছে। শিল্প কারখানাগুলো স্টিম উৎপাদনের জন্য আমদানি করা গ্যাস বা জ্বালানি তেল ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা না থাকায় সাশ্রয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রাও। অন্যদিকে ৪৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার এক্সহোস্ট গ্যাস নির্গমন বন্ধ হওয়ায় পরিবেশ দূষণও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাবে।

বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট পরিশোধের পাশাপাশি উৎপাদিত বিদ্যুতের ওপরও গ্রাহক পর্যায়ে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করা হচ্ছে বলে চিঠিতে জানানো হয়। এ অবস্থায় উৎপাদন এবং গ্রাহক পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

২০১৯ সালে একই বিষয়ে এনবিআরকে চিঠি দিলে তা গুরুত্বের সঙ্গে বাজেট প্রণয়নে নির্দেশনা দিয়েছিল বলেও জানিয়েছে ইউপিজিডি।

এসএম/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।