দেশি কোম্পানির সুরক্ষায় প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৮ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২৩

দেশি তামাক কোম্পানিগুলোর সিগারেট খাতে বিনিয়োগ সুরক্ষা এবং বাজারে সুষম প্রতিযোগিতা ফেরাতে ‘প্রতিযোগিতা আইন’ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে দেশি কোম্পানিগুলোর সংগঠন লোকালি ওন্ড সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুন নাহার লাকি।

তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজস্বের সিংহভাগ আসে মূসক খাত হতে আর এ খাতে আহরিত মোট রাজস্বের এক তৃতীয়াংশ আসে দেশের সিগারেট খাত হতে। প্রধানমন্ত্রী দেশীয় শিল্পের বিকাশ, উৎপাদন বৃদ্ধি, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বেকারত্ব দূরীকরণসহ শিল্প বাণিজ্যের উন্নয়নে সব সেক্টরে ইতিবাচক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছেন। শুধু দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটে ‘Made in Bangladesh’ স্লোগানে দেশীয় শিল্পকে বিশেষ প্রণোদনা অথবা কর অব্যাহতি/অবকাশ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে তারাও সিগারেট খাতে অনুরূপ প্রণোদনা ও স্বার্থ সংরক্ষণের নীতি সহায়তা চান।

তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী ২০১৮-১৯ সালের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে দেশীয় কোম্পানির স্বার্থ সংরক্ষণে নীতিমালা গ্রহণ করে বলেন, ‘বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট শুধু মধ্যম এবং উচ্চ স্তরে তৈরি করা যাবে। নিম্ন স্তরে কোনো বিদেশি ব্র্যান্ড আমরা Allow করবো না, এটা শুধু দেশি শিল্পের জন্য দেশি ব্র্যান্ডের জন্য রিজার্ভ থাকছে।’

এ নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে জানিয়ে সংগঠনের সেক্রেটারি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এর আগে বাজেটের মাধ্যমে গৃহীত সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে। শুধু সিগারেট খাতে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন শিল্পের সুরক্ষার্থে এবং জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের মাধ্যমে অনুমোদিত এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে সিগারেটের বাজার প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার অধিক। এ খাতে সরকারের চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরিত হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ খাতের ব্যবসায়িক লাভ বৃটিশ আমেরিকান টোবাগো কোম্পানি BATBC, Dividend হিসেবে বৈদেশিক মূদ্রায় বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এ লাভের কোনো অংশ দেশের অন্য কোনো খাতে বিনিয়োগ করে না। অন্যদিকে দেশীয় কোম্পানির লাভ দেশেই থেকে যায় এবং অন্যান্য খাতে রাজস্ব সঞ্চারী বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেট নীতি অনুযায়ী বাজারের ভারসাম্য এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিম্ন স্ল্যাবের ব্র্যান্ড শুধুমাত্র শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানির জন্য সংরক্ষিত রাখা এবং এর মূল্য বৃদ্ধি না করে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন তামাক কোম্পানিগুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সুযোগ দিতে হবে।

তাছাড়াও সিগারেট খাতে দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষা ও বাজারে সুষম বন্টন ব্যবস্থা আনয়নে প্রতিযোগিতামূলক আইন-২০১২ বাস্তবায়নে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।

এনএইচ/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।