যুক্তরাষ্ট্র থেকে কটন আমদানিতে খরচ-সময় কমবে: বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৭ পিএম, ৩০ মে ২০২৩
বিজিএমইএ ও কটন ইউএসএ’র প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ/ছবি: সংগৃহীত

বাধ্যতামূলক ফিউমিগেশন প্রত্যাহার করায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কটন আমদানিতে খরচ ও সময় সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কটনের বিষয়ে বাধ্যতামূলক ফিউমিগেশন প্রত্যাহার করেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয়ের জন্য পারস্পরিক বাণিজ্য বাড়ানোর বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এখন থেকে মার্কিন কটন আমদানিকারক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ফিউমিগেশন ছাড়াই কটন আমদানি করতে পারবেন। এটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কটন আমদানিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ব্যয় ও সময় সাশ্রয় করবে, ঝামেলাও অনেক কমাবে।’

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে কটন ইউএসএ-এর একটি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন>> ১০ মাসে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩১ শতাংশ

সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএর সঙ্গে পারস্পরিক বাণিজ্য বাড়াতে ‘কটন ইউএসএ’ একসঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দেয়। সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক বাণিজ্য সুযোগ তৈরিতে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য; বিশেষ করে পোশাক ও কটনখাতে আরও বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত করতে দুই সংস্থা কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা যে কটন আমদানি করে, তা দিয়ে পোশাক তৈরি করা হয়। এ পোশাকই আবার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়। মার্কিন সরকার যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা কটনে তৈরি বাংলাদেশি পোশাক তাদের দেশে প্রবেশে শুল্ক অব্যাহতি দেয়, তাহলে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পোশাক কিনতে পারবে।’

আরও পড়ুন>> বাজেটে ১০ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা চায় বিজিএমইএ

এ বিষয়ে তিনি কটন ইউএসএ-এর সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি জানান, এ ধরনের বাণিজ্য সুবিদা বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারক ও মার্কিন কটন উৎপাদনকারী; উভয়পক্ষকেই উপকৃত করবে। দুপক্ষের জন্যই একটি লাভজনক হবে বলে অভিমত দেন বিজিএমইএ সভাপতি।

কটন ইউএসএ’র প্রতিনিধিদলে ছিলেন প্রতিষ্ঠানের দক্ষিণ এশিয়ার সাপ্লাই চেইন মার্কেটিংয়ের পরিচালক উইলিয়াম আর বেটেনডর্ফ, ইউরোপিয়ান ব্র্যান্ডসের পরিচালক স্টেফানি থিয়ার্স র‌্যাচক্লিফ, কটন ইউএসএ’র বাংলাদেশের কনসালটেন্ট আলী আরসালান। বৈঠকে বিজিএমইএ’র পরিচালক তানভীর আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন>>  নানা চাপে নাজুক পোশাকখাত: বিজিএমইএ সভাপতি

এদিকে, ফারুক হাসান কটন ইউএসএ প্রতিনিধিদলকে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে বিজিএমইএ-এর উদ্যোগে যে ‘বাংলাদেশ অ্যাপারেল সামিট’ হবে, তা অবহিত করেন। মার্কিন কটন রপ্তানিকারক ও পোশাক ক্রেতাদের এ সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান এবং আয়োজনে সহযোগিতার অনুরোধ করেন।

বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তুলা আমদানিকারক দেশ। রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে চাহিদার ৯৯ শতাংশ কটনই আমদানি করা হয়। আর বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষস্থানীয় তুলা রপ্তানিকারক দেশ।

ইএআর/এএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।