‘জরিমানা নয়, নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান কাজ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করা প্রধান কাজ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার। তিনি বলেন, ‘জেল-জরিমানার মাধ্যমে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত করা আমাদের উদ্দেশ্য না। আমাদের উদ্দেশ্য ব্যবসা সম্প্রসারণ। তবে সেটি আইনসম্মতভাবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের মাধ্যমে। খাদ্যের কোয়ালিটি নিয়ে কখনো আপোস করা হবে না’।

বুধবার রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সকাল ১০টায় শুরু হওয়া সেমিনারে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার বলেন, ‘খাদ্য অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে, যেটা নিরাপদ না সেটিকে কখনোই খাদ্য বলা যাবে না। আপনি যখন কোনো পণ্য বিক্রি করবেন সেটা সম্পূর্ণ নিরাপদ নিশ্চিত হয়েই বিক্রি করতে হবে এবং লেবেলিংয়ের মাধ্যমে খাদ্যের উপাদান এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সবকিছু জানাতে হবে। কারণ ভোক্তার অধিকার আছে সে কী খাচ্ছে এবং তাতে কী পুষ্টি আছে সেগুলো জানার । ভোক্তা যদি তার খাবারে লেবেলিংয়ের সঠিক পুষ্টিগুণ না পায় তাইলে কিন্তু ভোক্তা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।’

jagonews24

নিউট্রিশন সম্পর্কে লেবেলিংয়ে বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষায় স্পষ্ট অক্ষরে খাদ্যের উপাদান লেখা থাকতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পণ্যের লেবেলিং এ সব তথ্য দিতে হবে। বিভিন্ন খাবারে এলার্জি থাকে, তাই খাবারে এলার্জি আছে কি না তা হাইলাইট করে লিখতে হবে। কোন খাবারে নিউট্রিশন, ফ্যাট, লবণ, চিনি কী পরিমাণে আছে তা বড় করে লিখতে হবে-যাতে সহজেই দেখা যায়। যদি ইংরেজিতে কেউ লেবেলিং করে তাকে বাংলায়ও লিখতে হবে।’

লেবেলিং এবং বিজ্ঞাপন প্রবিধানমালার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘টেলিভিশন, পত্রিকা বা অন্য মাধ্যমে অতিরঞ্জিত কোনো বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না। বিজ্ঞাপনের নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। অতিরঞ্জিত যেসব বিজ্ঞাপন আছে সেগুলোও সরাতে হবে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান অনিরাপদ খাদ্য সরবরাহে নৈতিকতার অভাবকে দায়ী করে বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে আমাদের কী শুধু জ্ঞানের বা প্রশিক্ষণের অভাব? আসলে কিন্তু তা না। আমরা অনেকে জেনে বাণিজ্য বা বেশি অর্থ লাভের আশায় অনিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করে থাকি। আসলে আমাদের নৈতিকতার অভাব। এ নৈতিকতার জায়গাগুলো আমরা যদি নিজেরা নিজেদের কাছে কমিন্টমেন্ট করতে না পারি তাহলে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ সম্ভব না।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য মো. রেজাউল করিম। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন খাদ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধি।

এনএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।