৫ দিনে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের দাম কমলো ৬১ কোটি টাকা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০১ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়। এমন পতনের বাজারে সব থেকে বেশি দাম কমেছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের শেয়ারের।

বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে এই কোম্পানিটি। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ৬১ কোটি টাকার বেশি।

গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ২ টাকা ৬০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৬১ কোটি ১৫ লাখ ২৯ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ১৬ টাকা ৫০ পয়সা।

শেয়ার দামে এমন পতন হওয়া কোম্পানিটির সর্বশেষ ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ২ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। এরপর কোম্পানিটি আর লভ্যাংশ দেয়নি। তার আগে ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০১৮ সালে ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০১৭ সালে ৩ শতাংশ নগদ ও ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০১৬ সালে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২৩৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৫২ লাখ ৩ হাজার ৭৬৯টি। এর মধ্যে ৩০ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার আছে।

এদিকে দফায় দফায় দাম কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপয়ার্ডের পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল রিং শাইন টেক্সটাইল। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে শ্যামপুর সুগার মিলস।

এছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- ইয়াকিন পলিমারের ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমের ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সরিজের ১২ দশমিক ২৬ শতাংশ, নূরানী ডাইংয়ের ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ইভিন্স টেক্সটাইলের ১১ দশমিক ৪৮ শতাংশ, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপারী ব্যাংক ব্যালেন্স ফান্ডের ১১ দশমিক ২৭ শতংশ এবং রূপালী ব্যাংকের ১১ দশমিক ২৪ শতাংশ দাম কমেছে।

এমএএস/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।