ফায়ার সেফটি এক্সপো

অগ্নিনিরাপত্তায় গ্রাহকদের আস্থার প্রতীক ‘সেফমেট’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

তিন দিনব্যাপী নবম আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এটি আয়োজন করেছে ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব)।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসাব-এর সভাপতি মো. নিয়াজ আলী চিশতি। অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে কীভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি রক্ষা করা যায় সেই বিষয়ে নানা সমাধান প্রদর্শন করা হচ্ছে।

প্রদর্শনীতে বিশ্বের ৩০ দেশের শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। অগ্নিঝুঁকি কমিয়ে দেশে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার, অগ্নি-সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া ও অগ্নিনিরাপত্তা, সুরক্ষার বিষয়ে সব মহলে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের এক বিশ্বস্ত নাম ‘সেফমেট’। স্টল নম্বর ১১১।

jagonews24

বাসাবাড়ি, কর্মক্ষেত্র বা শিল্পকারখানায় অগ্নিদুর্ঘটনা কীভাবে এড়ানো যায় এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেটা দেখতে স্টল ঘুরে দেখছেন তরুণরা। মেলায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ক্ষেত্রে নিরাপদ ও বিশ্বস্ত একটি নাম হয়ে উঠেছে ‘সেফমেট ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড সলিউশন’। বাসাবাড়ি কিংবা কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গ্রাহকরা ঝুঁকছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতির ব্র্যান্ড সেফমেটের দিকে।

আরও পড়ুন>>> শুরু হলো আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো

সরেজমিন দেখা গেছে, তরুণরা সেফমেট স্টল ঘুরে নানা ধরনের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দেখছেন। এখানে ‘এএফও অটো ফায়ার অফ’ বল। এর দাম মাত্র ৮৯৭ টাকা। ১ দশমিক ৩ কেজি ওজনের এ বলে মূলত অগ্নিনির্বাপক পাউডার রয়েছে। রান্না ঘরের কোনো এক জায়গায় রেখে দিলেই স্বয়ংক্রিভাবে নিরাপদ রাখবে রান্নাঘর। রান্নাঘরে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে স্বয়ংক্রিভাবে বলটি ব্লাস্ট হবে এবং পাউডারের মাধ্যমে রান্না ঘর নিরাপদ রাখবে। এ পণ্যের প্রতি ঝুঁকছেন তরুণরা।

অগ্নিনিরাপত্তায় গ্রাহকদের আস্থার প্রতীক ‘সেফমেট’

সরেজমিন দেখা গেছে, মেলায় সেফমেটের ফায়ার ডিটেইনশন সিস্টেম, ফায়ার প্রটেকশন সিস্টেম, ফায়ার পার্ম, ফায়ার সাফরেশন, ফায়ার এক্সটিংগুইশারসহ নানা ধরনের অগ্নিনির্বাপক পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।

মেলায় সেফমেট-এর ১১১ নম্বর স্টল ঘুরে দেখছেন মো. আমিনুল ইসলাম। ৩০ বছর বয়সী তরুণ এসেছেন মিরপুর পল্লবী থেকে। রান্নাঘর নিরাপদ রাখার জন্য স্বল্প টাকায় ‘এএফও অটো ফায়ার বল’ পছন্দ করছেন তিনি।

আমিনুল ইসলামের মতো অনেক তরুণ বাসা এবং বিনিয়োগের স্থান নিরাপদ রাখতে ভিড় করছেন ১১১ নম্বর স্টলে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ব্র্যান্ড ম্যানেজার (সেফমেট ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড সলিউশন) মাসুদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মেলায় আসার উদ্দেশ্য হচ্ছে নতুন নতুন ফায়ার সেফটি পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের অবহিত করা। দর্শনার্থীদের আগ্রহও অনেক বেশি। ফায়ার ডিটেকশন সিস্টেম, ফায়ার প্রোটেকশন সিস্টেম, ফায়ার ডোর, ফায়ার এক্সটিংগুইশার- সবকিছুই এখানে আমরা প্রদর্শন করেছি।

তিনি বলেন, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সঙ্গে ক্রেতাদের সেতু বন্ধন করা আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। ক্রেতারা যাতে করে আমাদের কাছে এসে ফায়ার রিলেটেড সব সলুশন পেতে পারেন সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমাদের এখানে সব ধরনের ক্রেতা আসছে। কমার্শিয়াল, বিভিন্ন আবাসিক প্রকল্পের ক্রেতাও আসছে। মেলায় সাড়া ভালো মিলছে। তরুণরা বেশি আসছে। নতুন নতুন তরুণ উদ্যোক্তরাও বেশি আসছে যারা এটাকে বুঝতে চায়। কারণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ঠিক না হলে তিল তিল করে গড়ে ওঠা বিনিয়োগ চোখের পলকে শেষ হতে পারে।

অগ্নিনিরাপত্তায় গ্রাহকদের আস্থার প্রতীক ‘সেফমেট’

মেলায় বর্তমানে সেফমেটের ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার ডিটেকশন সিস্টেম, ফায়ার প্রটেকশন সিস্টেম, ফায়ার সাপ্রেশন সিস্টেম, ফায়ার ডোরসহ আগুন নেভানোর নানান ধরনের পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।

মেলা থেকে জানা গেছে, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পণ্যগুলো উচ্চমানের প্রযুক্তিবান্ধব যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি। ফলে আগুন লাগলে তা খুব বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারবে না। সেফমেট-বিশেষজ্ঞরাও গ্রাহকদের সঠিক পণ্যটি চিনে নিতে সহযোগিতা করছেন। পণ্যের বিশ্বস্ততা ও নির্ভরতার কারণে প্রতিনিয়ত এর প্রসার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পাচ্ছে নানান ধরনের পরিষেবা।

অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে সেফমেট এমন একটি ব্র্যান্ড, যা থেকে গ্রাহকরা পাচ্ছেন নিবেদিত কর্মী ও পরামর্শক। যে কোনো সময় গ্রাহকদের সব ধরনের প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসার জবাব দিয়ে থাকেন প্রতিষ্ঠানটির প্রশিক্ষিত কর্মীরা। এছাড়া গ্রাহকরা খুব সহজেই নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ পেয়ে যাবেন সেফমেট-কর্মীদের কাছ থেকে। এসব বিষয়ে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের অবগত করা হচ্ছে।

এমওএস/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।