সোনা পরিশোধনাগার শিল্পে ১০ বছর কর অবকাশ চায় বাজুস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫২ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সারাদেশে ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বসানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। একই সঙ্গে সোনা পরিশোধনাগার শিল্পে ১০ বছর কর অবকাশ চেয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে বাজুস ও অন্য সংগঠনসমূহের কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।

বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, সারাদেশে ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসানো হলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবে। ব্যবসা ক্ষেত্রেও সমতা আসবে।

সোনার ওপর ৩ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ,জুয়েলারি সংশ্লিষ্ট কর অব্যাহতি প্রদান, অপরিশোধিত বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণের ওপর কাস্টমস ডিউটি কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাজুস।

বাজুস সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, স্বর্ণ নীতিমালা সংশোধনের মাধ্যমে পর্যটকদের সোনার বার আনা বন্ধ করা ও ট্যাক্স ফ্রি সোনার অলংকার ১০০ গ্রামের পরিবর্তে ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব করছি।

তিনি পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে ব্যাগেজ রুল সমন্বয় ও একজন যাত্রীকে একবার ব্যাগেজ রুলের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতি মূসক আইনের ২৬ ধারার আলোকে হাতে তৈরি কনফেকশনারি পণ্যকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেন।

ইক্যাব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ওপর ন্যূনতম কর দশমিক ৬ শতাংশ থেকে হ্রাস করে দশমিক ১ শতাংশ করা ও বাড়িওয়ালার আয়কর রিটার্নের দাখিল প্রমাণ সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা বাতিলের প্রস্তাব দেয়।

দেশের ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রিটার্ন দাখিল করে কি না, তা কর্মকর্তাদের খোঁজ নিতে বলেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। পাশাপাশি জুয়েলারি ও ই-কমার্স খাতকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এসএম/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।