মার্চের বেতন হয়নি ৫১ শতাংশ কারখানায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৩ এএম, ০৯ এপ্রিল ২০২৪

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে শেষ কর্মদিবস আজ, মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল)। অথচ সোমবার পর্যন্ত শিল্প এলাকার প্রায় ৫১ শতাংশের বেশি কারখানা শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেনি। আট শিল্প অধ্যুষিত ও শ্রমঘন এলাকায় মার্চের বেতন হয়েছে কেবল ৪৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ কারখানা। শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, ঈদের আগেই সব পাওনা পরিশোধ হবে।

শিল্প পুলিশের হালনাগাদ তথ্য বলছে, দেশের আট শিল্প অধ্যুষিত- আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেট এলাকায় মোট কারখানার সংখ্যা ৯ হাজার ৪৬৯টি। সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত এসব এলাকার ৫১ দশমিক ২১ শতাংশ কারখানায় মার্চ মাসের বেতন হয়নি। এসময় পর্যন্ত ঈদ বোনাস পেয়েছে ৮১ দশমিক ৩৫ শতাংশ কারখানার শ্রমিক। শ্রমঘন এসব এলাকার কারখানাগুলোর সিংহভাগই পোশাক ও বস্ত্রখাতের। আট শিল্প এলাকায় বিজিএমইএ’র সদস্য কারখানা ১ হাজার ৫৬১টি। এর মধ্যে বেতন হয়েছে ৪১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কারখানায়। গতকাল পর্যন্ত অপরিশোধিত ছিল ৫৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ কারখানার বেতন। তবে ঈদ বোনাস পেয়েছেন ৮৮ দশমিক ৪০ শতাংশ কারখানার শ্রমিক।

এ নিয়ে বিজিএমইএ’র সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, এবার পোশাকখাত একটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কারখানায় বেতন বেড়েছে, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, ব্যাংক ঋণের সুদ বেড়েছে। মজুরি বৃদ্ধির সঙ্গে পণ্যের দাম সমন্বয়ের কথা থাকলেও ক্রেতারা এটা করেনি। এরপরও প্রায় সব কারখানা মালিক বোনাস দিয়েছেন। বেশিরভাগ কারখানা বেতন দিয়েছে, এখনো দিচ্ছে।

তিনি বলেন, যেসব কারখানার সমস্যা আমাদের নজরে এসেছে সেগুলোর সমাধান হয়েছে। মিরপুরের একটি কারখানার মেশিন বিক্রি করে সমাধান করা হয়েছে। নতুন করে আশুলিয়া ও মিরপুরের দুই কারখানায় সমস্যা জানা গেছে। এখন পর্যন্ত সদস্যভুক্ত ৮৯ শতাংশ কারখানায় বেতন হয়েছে। আজ ব্যাংক খোলা, আশা রাখি ঈদের আগেই বেতন-বোনাস পরিশোধ হয়ে যাবে সব কারখানায়।

আরও পড়ুন

পোশাক শিল্পের অপর সংগঠন বিকেএমইএ’র সদস্য কারখানা ৬২৬টির মধ্যে বোনাস দিয়েছে ৭৭ শতাংশ কারখানা। বেতন পরিশোধ করা হয়েছে ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশ কারখানায়। প্রায় ৭০ শতাংশ কারখানার শ্রমিক বেতন পাননি।

আট শিল্প এলাকায় বিটিএমএ সদস্য কারখানা ৩৪৭টির মধ্যে ৫১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ কারখানায় বেতন পরিশোধ হয়েছে। গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে ৯২ দশমিক ৫১ শতাংশ কারখানায়।

বেপজার অধীন মোট কারখানা ৪২৩টি। এর মধ্যে ৮২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ তাদের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে। এখন পর্যন্ত বোনাস হয়েছে ৯৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ কারখানায়।

এসব শিল্প এলাকাগুলোয় পাটকল রয়েছে ৯২টি, বেতন হয়েছে ৮০ শতাংশ কারখানায়, বোনাস হয়েছে ৮৯ শতাংশ কারখানার শ্রমিকদের। কোনো সংগঠনের আওতায় নেই এমন কারখানা ৬ হাজার ৪২০টি রয়েছে। এসব কারখানার মধ্যে ৪৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ তাদের বেতন পরিশোধ করেছে। বোনাস দিয়েছে ৭৮ দশমিক ২৬ শতাংশ কারখানা।

ইএআর/এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।