জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স কোর্সের মেয়াদ কমছে না: উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৮ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ/ফাইল ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স কোর্সের মেয়াদ চার বছরই থাকছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

ফেসবুক পোস্টে উপাচার্য লেখেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চার বছরই থাকছে। আমাদের অনার্স কোর্সের মেয়াদ কমছে না। এ ধরনের কোনো নির্দেশনা আমরা মন্ত্রণালয় থেকেও পাইনি। আমাদেরও এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। মিডিয়াতে আমিনুল স্যারকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছরের অনার্স কোর্স চার বছরই থাকছে। কিছু টেকনিক্যাল কোর্স নিয়ে সিলেবাস সংস্কার করে আমরা একটা ব্লেন্ডেড সিলেবাসের দিকে যাচ্ছি, যেন দেশে-বিদেশে আমাদের ছেলে-মেয়েরা চাকরি পায়। অনার্সের মূল ক্রেডিট পয়েন্টে হাত না দিয়ে এসব টেকনিক্যাল কোর্স কীভাবে স্নাতক পাস এবং সম্মানে যোগ করা যায় এ নিয়ে এ মুহূর্তে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে আমাদের সঙ্গে। কোর্স এবং রিসোর্স চিহ্নিত করার কাজ চলমান।’

‘সবকিছু ফাইনাল হলে আমরা বসবো সবার সঙ্গে। আমরা মনে করি, শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার করতে পারলে এ দেশের ৫০ শতাংশ শিক্ষার সংস্কার হবে। সবার সহযোগিতা চাই।’

গত ৯ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছরের যে সম্মান বা অনার্স কোর্স রয়েছে, তার মেয়াদ কমিয়ে তিন বছর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চার বছরের অনার্স কোর্সকে তিন বছরের কোর্স করা হবে। বাকি এক বছরে ডিপ্লোমা ও কারিগরি ওপর ব্যাপকভাবে শিক্ষা দেওয়া হবে। তারপর তাদের দুটো সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। একটা অনার্সের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে; আরেকটা ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, যে সার্টিফিকেটটা ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে সবার কাছে।’

এএএইচ/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।