শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে আদর করে পাঠদান করতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রাজপথে সরব ভূমিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা ট্রমার মধ্যে রয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার। সেজন্য তাদেরকে বুঝিয়ে আদর করে পাঠদান করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা একটা ট্রমার মধ্যদিয়ে গেছে। সে কারণে তাদের আচরণে পার্থক্য (গণঅভ্যুত্থানের আগে-পরে) থাকবে। সবার কাছ থেকে স্বাভাবিক আচরণ আশা করাও যাবে না। এক্ষেত্রে তাদের বুঝিয়ে আদর করে পাঠদান করতে হবে।
সি আর আবরার বলেন, আমরা একটা জটিল সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। দাবি-দাওয়াগুলো সম্মানের সঙ্গে উপস্থাপন করতে হবে। একই সঙ্গে আলাপ- আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে ‘কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন: বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সম্ভাবনা ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে’ শিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
- আরও পড়ুন
- সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন
- ইউআইউ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
কারিগরি শিক্ষা নিয়ে নেতিবাচক ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ড. সি আর আবরার বলেন, মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা সম্পৃক্ত করা দরকার। কারণ কারিগরি শিক্ষাকে অবমূল্যায়ন করা হয়। এ শিক্ষাব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে, মিস্ত্রি বানানোর কারখানা। এ ধরনের নেতিবাচক ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, কারিগরি শিক্ষা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। এখানে কাঠামোগত সংস্কারের দরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ট্রেড ভিত্তিক শিক্ষকের বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও নিউ টেকনোলজির অভাব রয়েছে। এসব দূর করার জন্য কারিগরি শিক্ষাকে আরও যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষালাভ করেও অনেকে বেকার। তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না, তার বিকল্প হিসেবে কারিগরি শিক্ষায় জোর দিতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নাসরিন আফরোজ ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমদ খান প্রমুখ।
এএএইচ/ইএ/জিকেএস