নীতিমালা প্রকাশ

কলেজে ভর্তিতে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, নেই গণঅভ্যুত্থান কোটা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৫ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২৫
ফাইল ছবি

চলতি (২০২৫-২৬) শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির চূড়ান্ত নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, অনলাইনে আবেদন, শিক্ষার্থী নির্বাচন ও নিশ্চায়নের পর চূড়ান্ত ভর্তি শুরু হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, একাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে এবারও ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটা। শুধু মুক্তিযোদ্ধার পুত্র ও কন্যারা এ কোটা সুবিধা পাবেন। নাতি-নাতনিদের জন্য কোনো ধরনের কোটা নেই। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে আসন শূন্য রাখা যাবে না। শূন্য আসনে মেধারভিত্তিতে সাধারণ প্রার্থীদের ভর্তির সুযোগ দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া ২ শতাংশ রাখা হয়েছে পোষ্য কোটা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানরা এ কোটা সুবিধা পাবেন। বাকি ৯৩ শতাংশ আসনে মেধারভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। এ কোটা পদ্ধতি শুধু ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য হবে।

এদিকে, এবার ঢাকা শিক্ষাবোর্ড জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী এবং হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোটা’ রাখার সুপারিশ করে। একই সঙ্গে প্রাসঙ্গিকতা না থাকায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা না রাখার বিষয়টি বিবেচনা করতে বলে। এ নিয়ে জাগো নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিতর্ক শুরু হয়। বিতর্কের মুখে চূড়ান্ত নীতিমালায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোটা রাখা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একাদশে ভর্তির নীতিমালায় বলা হয়েছে, ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধারভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশসহ মোট ২ শতাংশ আসন মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংরক্ষিত থাকবে।

যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয়, সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধারভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তার একধাপ ওপরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র বা গেজেটের সত্যায়িত কপি আবেদপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে।

এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে শূন্য আসনে ভর্তি করাতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষাবোর্ড যে খসড়া নীতিমালা করেছিল, সেখানে কিছু বিষয় রাখা বা বাদ দেওয়া নিয়ে তারা সুপারিশ করেছিলেন। সেগুলো আলোচনা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা চাই না কোনো ধরনের বিতর্ক হোক। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে নীতিমালা করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

এএএইচ/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।