‘সি আর আবরার, আর নেই দরকার’ স্লোগানে শিক্ষকদের পতাকা মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৮ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
তিন দাবিতে কালো পতাকা মিছিল করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা

২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতাসহ তিন দাবিতে আন্দোলনের সপ্তম দিনে কালো পতাকা মিছিল করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এসময় তারা শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন। বিশেষ করে ‘সি আর আবরার, আর নেই দরকার’ স্লোগান শোনা যায় মিছিলে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে তারা মিছিল শুরু করেন। পরে মিছলটি দোয়েল চত্বর হয়ে কদম ফোয়ারায় গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে করে।

সমাবেশে শিক্ষকরা বলেন, দেশের মন্ত্রী, আমলাদের বাড়িভাড়া শুধু নয় পুরো বাড়িই লাগে। কিন্তু আমরা ন্যায্য বাড়িভাড়া পাচ্ছি না। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঢাকার রাস্তায় শুয়ে, বসে ও ঘুমিয়ে দাবির কথা জানাচ্ছি; কিন্তু শোনার কেউ নেই।

আরও পড়ুন
এক সপ্তাহে গড়ালো শিক্ষকদের আন্দোলন, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা 
সরকারের ‘আশ্বাসে’ প্রাথমিক শিক্ষকদের আমরণ কর্মসূচি স্থগিত 

তারা আরও বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে। আমাদের অল্প এই দাবি মেনে নিতে না পারলে শিক্ষামন্ত্রীর আর থাকার প্রয়োজন নেই।

মিছিলে শিক্ষকদের হাতে কালো পতাকা ও মাথায় ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দাবির ব্যান্ড দেখা যায়। এছাড়া ‘তুমি কে আমি কে, শিক্ষক শিক্ষক’, ‘নেবো না, নেবো না, ৫০০ টাকা নেবো না’, ‘যাবো না, যাবো না, বাড়ি ফিরে যাবো না’, ‘শিক্ষকদের এক দাবি, ২০ পার্সেন্ট ২০ পার্সেন্ট’, ‘আমাদের ন্যায্য দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’, ‘সি আর আবরার, আর নেই দরকার’ স্লোগান দিতেও দেখা যায়।

গত বৃহস্পতিবার যমুনা অভিমুখে ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচি ঘিরে দুপুর ১টার পর থেকেই কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন। তারা খণ্ড খণ্ডভাবে একসঙ্গে স্লোগান দিয়েছেন। এর আগে বুধবার প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার পর শাহবাগ মোড় ছেড়ে বিকেল ৫টার পর ফের শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এরপর থেকে আজ সপ্তম দিনেও দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

এএএইচ/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।