৫ শতাংশ বাড়িভাড়ায় উপকৃত হবেন ৮৯ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৮ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য নতুন করে নির্ধারিত বাড়িভাড়া ভাতায় প্রায় ৮৯ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারী উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

রোববার (১৯ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত তথ্যে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে এবং ন্যূনতম মাসিক ২ হাজার টাকা হিসাবে ভাতা নির্ধারণের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর বাড়িভাড়া বাড়বে গড়ে ৮ দশমিক ৭ শতাংশের বেশি।

তথ্য অনুযায়ী, বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ হারে এবং ন্যূনতম মাসিক ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করলে ৮৯ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর বাড়িভাড়া বাড়বে ৮.৭ শতাংশের বেশি, ৫৬ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর বাড়িভাড়া বাড়বে ১২ শতাংশের বেশি, এবং ৭৫ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর বাড়িভাড়া বাড়বে ৯ শতাংশের বেশি।

আরও পড়ুন
শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ বাড়িয়ে আদেশ জারি
৫ শতাংশ হারে শিক্ষক-কর্মচারীদের কার বাড়িভাড়া ভাতা কত

এ সংক্রান্ত আদেশ এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ থেকে জারি করা হয়েছে। উপসচিব মরিয়ম মিতুর সই করা ওই আদেশে বলা হয়েছে, সরকারের বিদ্যমান বাজেট সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়েই এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, এ ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ জাতীয় বেতনস্কেলের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগের শর্তাবলি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

এছাড়া কোনো অবস্থাতেই বকেয়া দাবি তোলা যাবে না এবং আর্থিক বিধিবিধান লঙ্ঘন হলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আদেশের অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, অর্থ বিভাগের বাজেট-১ শাখাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

এএএইচ/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।