গণশিক্ষা উপদেষ্টা

সাউন্ড গ্রেনেডে নয়, রোগাক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ওই শিক্ষিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০১ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকায় দশম গ্রেডের দাবিতে আন্দোলনে এসে সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাঁদপুরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার মারা গেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

তিনি বলেছেন, সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। রোগাক্রান্ত হয়ে অসুস্থতাজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করা হয়। সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়ে মারা যাওয়ার খবরটি একেবারেই সঠিক নয়।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনায় আমরা দুঃখপ্রকাশ করেছি। নিহতের পরিবারকে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতে আহত হয়ে মারা গেছেন বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা মিথ্যা।

জানা যায়, ফাতেমা আক্তার চাঁদপুরে মতলব উত্তরের ৫ নম্বর ঝিনাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পরিবার, সহকর্মী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৮ নভেম্বর সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় সহকর্মীদের সঙ্গে কলম সমর্পণ কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি।

সেদিন কিছুটা শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই ওই কর্মসূচিতে যোগ দেন ফাতেমা আক্তার। সেখানে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দে ‘আতঙ্কিত হয়ে’ আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তীব্র মাথাব্যথা ও হাত-পায়ে ব্যথা অনুভূত হয় তার। বেড়ে যায় শ্বাসকষ্ট।

স্বজনরা তাকে ঢাকার মিরপুর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এএএইচ/এমআইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।