সময়মতো পাঠ্যবই দিতে আবারও ব্যর্থতা, সেই একই ‘অজুহাত’
• টানা ১৬ শিক্ষাবর্ষেই ব্যর্থতার ঘোরটোপ
• বাড়ছে শিখন ঘাটতি, তলানিতে শিক্ষার মান
• পাঠ্যবই ছাপায় ব্যর্থতা ঢাকতে ‘অজুহাত’ ছাপাখানা সিন্ডিকেট
২০১০ সালে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেওয়া শুরু করে সরকার। সে বছর সব বই ছাপা ও বিতরণ শেষ হয়েছিল ২১ জুলাই। অর্থাৎ, বই পেতে বছরের অর্ধেক সময় চলে যায়। বিনামূল্যে বই ছাপা ও বিতরণে প্রথম বছরের সেই ব্যর্থতা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি কোনো সরকার। টানা ১৬ বছর শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের শুরুতে বই তুলে দিতে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের হাতে দেরিতে পাঠ্যবই দেওয়ার ক্ষত শিক্ষাখাত ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে। প্রতিটি শিক্ষাবর্ষ দেরিতে শুরু হচ্ছে, প্রয়োজনের চেয়েও কম ক্লাস হচ্ছে এবং সিলেবাস শেষ না করেই পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তী শ্রেণিতে উঠছে শিক্ষার্থীরা। এতে শিখন ঘাটতি বাড়ছে এবং তলানিতে নামছে শিক্ষার মান।
সময়মতো বই পেলো না, ক্লাস হলো না, কিছুই পড়তে পারলো না, কিন্তু পরীক্ষাটা হয়ে গেলো। এভাবে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক উতরে উচ্চশিক্ষাও নিয়ে ফেলছে। ফন্দি-ফিকির করে ভালো জিপিএ পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভেতরটা অন্তঃসারশূন্য।-ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ
বই ছাপা ও বিতরণে ধারাবাহিক এ ব্যর্থতার পেছনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারকে দায়ী করছে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। আর মন্ত্রণালয় বলছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এনসিটিবি ঘিরে যে প্রেস সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, তা ভাঙতে তারা চেষ্টা করছেন। এ চক্র নিয়ন্ত্রণে না আনা গেলে পাঠ্যবই ছাপার কাজে স্বচ্ছতা ও মাননিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
দুই পক্ষের এমন বিপরীতমুখী বক্তব্যে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও শিক্ষকরা। তারা বলছেন, শিক্ষাবর্ষের শুরুতে শিক্ষার্থীদের প্রথম ও অত্যাবশকীয় শিক্ষা উপকরণ হলো নতুন পাঠ্যবই। ক্লাস শুরু করতে, পাঠদানে গতি বাড়াতে বছরের শুরুতে বই দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। সরকার ও এনসিটিবি সেটা কীভাবে করবে, তা তাদেরই ঠিক করতে হবে।
বই বিতরণে কোন বছর কত মাস লেগেছে
চলতি (২০২৫) শিক্ষাবর্ষেও বই ছাপায় দেরি হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে এবং বই ছাপানোর কাজ শুরু করে। ছাপাখানা মালিকদের চাপে রেখে কাজ করার পরও বই ছাপা ও বিতরণ শেষ করতে ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
আরও পড়ুন
সপ্তাহ পেরোলেই নতুন শিক্ষাবর্ষ, এখনো ছাপা বাকি ১০ কোটি বই
ইসলাম শিক্ষার চেয়ে হিন্দু ধর্ম শিক্ষকের বেতন বেশি, কারণ কী
‘জটমুক্ত’ বিসিএস কার্যকরের পথে পিএসসি
বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরুর বছর ২০১০ সালের ২১ জুলাই পর্যন্ত সময় লেগেছিল বই বিতরণে। ২০১১ সালে ১২ এপ্রিল, ২০১২ সালে ১৫ এপ্রিল, ২০১৩ সালে ৬ মার্চ, ২০১৪ সালে ১৮ মার্চ, ২০১৫ সালে ৫ মার্চ, ২০১৬ সালে ৬ মার্চ, ২০১৭ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সালে ১৩ মার্চ, ২০১৯ সালে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময় লেগেছিল।
এবার (২০২৬ সালের বই) আমাদের প্রস্তুতি ঠিক ছিল। রূপরেখাও ঠিক ছিল। তবে তিনটি শ্রেণির বইয়ের পুনঃদরপত্র হওয়ায় আমরা পিছিয়ে পড়েছি। আশা করি, আগামী বছর এ রূপরেখা সামনে রেখে কাজ করলে নভেম্বরের মধ্যে বই ছাপা শেষ হয়ে যাবে।- পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী
এরপর আসে মহামারি করোনাভাইরাস। করোনার কারণে ২০২০, ২০২১ সালে বই ছাপা ও বিতরণের শিডিউল ভেঙে পড়ে। ওই দুটি বছরের বই ছাপা শেষ করতে জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত সময় লেগে যায়। তবে ঠিক কবে নাগাদ বই বিতরণ শেষ করা হয়েছিল, তার সঠিক তথ্য এনসিটিবির কাছেও সংরক্ষিত নেই।
২০২২ সালে ২৪ মার্চ পাঠ্যবই ছাপা ও বিতরণ শেষ করে এনসিটিবি। এছাড়া ২০২৩ সালে ১৭ মার্চ, ২০২৪ সালে ৮ এপ্রিল বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপা ও বিতরণ কাজ শেষ করতে সক্ষম হয় সরকার।
ধারাবাহিক ব্যর্থতার নেপথ্যে কী?
প্রতি বছরই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে ২৫-৩০ কোটি কপি বই ছাপা ও বিতরণের কাজ করতে হয়। যে শিক্ষাবর্ষের জন্য বই ছাপা হয়, তার আগের বছরের শুরু থেকে বই ছাপার কাজ শুরুর কথা। কিন্তু তা পিছিয়ে এপ্রিল-মে মাসে চলে যায়। বইয়ের চাহিদা সংগ্রহ করে দরপত্র আহ্বান করতে জুন-জুলাই মাস সময় লেগে যায়।
দরপত্র মূল্যায়নসহ অন্য প্রক্রিয়া, সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে ক্রয়াদেশ অনুমোদনের পর ছাপাখানাগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে এনসিটিবি। চুক্তি করতে সময় নির্ধারণ থাকে ২৮ দিন। চুক্তির পর ছাপাতে সময় দেওয়া হয় ৫০ দিন। ফলে আগস্ট মাসে চুক্তি শেষে ছাপার কাজ শুরু হলেও শিক্ষাবর্ষের জানুয়ারিতে বই দেওয়া সম্ভব। তবে তা বাধাগ্রস্ত করতে নানা সিন্ডিকেট কাজ করে বলে অভিযোগ।
চলতি বছর বই ছাপার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকা এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘ছাপাখানা মালিকদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। তারা প্রথমে এনসিটিবিকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। তা সম্ভব না হলে মন্ত্রণালয়েও তদবির করেন। নানাভাবে তারা কাজের সময়টা পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে তারা শেষ সময়ে তড়িঘড়ি বই ছাপার কাজ করে নিম্নমানের বই দেওয়ার সুযোগ পান।’
পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সাবেক একজন চেয়ারম্যান জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রতিবছর বই ছাপা ও বিতরণে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার কোটি টাকার কাজ হয়। স্বাভাবিকভাবে এ কাজে একটি চক্রের নজর থাকে। তারা মনোপলি করে কাজ বাগিয়ে নেয়। এর সঙ্গে যে এনসিটিবির কর্মকর্তা কিংবা সরকার তথা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা থাকে না, তাও নয়। মন্ত্রণালয়, এনসিটিবি, ছাপাখানা মালিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সিন্ডিকেটে পাঠ্যবই ছাপার কাজে এ ব্যর্থতা বলে আমি মনে করি।’
তবে ভিন্ন কথা বলছেন মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন মুদ্রণ ব্যবসায় জড়িত এবং বই ছাপার কাজ করছেন তোফায়েল খান। তিনি বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি। তোফায়েল খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রথম দায়টা অবশ্যই সরকারপক্ষের। এখানে সরকার বলতে আমরা পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকেই চিনি। তাদের ভালো পরিকল্পনা জরুরি। কিন্তু বরাবরই সেটা অনুপস্থিত। এ কারণে পাঠ্যবই সঠিক সময় ছাপা, বাঁধাই, কাটিং ও সরবরাহে দেরি হচ্ছে। সবার আগে এনসিটিবিকে এ দায় নিতে হবে।’
বই ছাপা-বিতরণে ব্যর্থতার প্রভাব কতটা?
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী- শিক্ষাবর্ষ শুরু হয় ১ জানুয়ারি, শেষ হয় ৩১ ডিসেম্বর। প্রাথমিক, নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বছরে তিনটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিক। দেরিতে বই হাতে পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা দেরিতে ক্লাসে বসে। অথচ পরীক্ষার সূচি নির্ধারিতই থাকে। এতে শিখন ঘাটতি নিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উঠছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘমেয়াদে এমন শিখন ঘাটতিতে শিক্ষার মানে বড় বিপর্যয় ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষাবিদরা।
তাদের ভাষ্যমতে, সরকারকে অবশ্যই জানুয়ারির শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে হবে। যদি বিশেষ পরিস্থিতিতে তা পিছিয়ে যায়, বই বিতরণে দেরি হয়, তখন শিক্ষাপঞ্জি তৈরিতে দেরিতে ক্লাস শুরুর বিষয়টি সমন্বয় করতে হবে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক তাহেরা আক্তার রূপা জাগো নিউজকে বলেন, ‘কোনো বছরেই জানুয়ারি মাসের মধ্যে বই বিতরণ শেষ করতে পারছে না সরকার। জানুয়ারি মাস অনেকটা ক্লাস ছাড়াই শিক্ষার্থীদের পার করতে হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে রোজা ও ঈদের দীর্ঘ ছুটি থাকে। এপ্রিলে কিছুদিন ক্লাসের পর মে-জুনে আবার গ্রীষ্মকালীন অবকাশ। ঈদুল আজহা, শীতকালীন অবকাশসহ নানান ছুটি তো রয়েছে। তাছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা, শিক্ষকদের আন্দোলনে ক্লাস হচ্ছে না। ঠিকমতো পড়ালেখা হচ্ছে না।’
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘সময়মতো বই পেলো না, ক্লাস হলো না, কিছুই পড়তে পারলো না, কিন্তু পরীক্ষাটা হয়ে গেলো। এভাবে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক উতরে উচ্চশিক্ষাও নিয়ে ফেলছে। ফন্দি-ফিকির করে ভালো জিপিএ পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভেতরটা অন্তঃসারশূন্য।’
অধ্যাপক মনজুর আহমেদ বলেন, ‘এতে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বড় ক্ষতি রাষ্ট্রের। তারাই একদিন এ রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেবে, পরিচালনা করবে। কিন্তু তাদের দক্ষতা তো শূন্যের কোঠায়! এজন্য শিক্ষাখাত নিয়ে হেলাফেলা করাটা মোটেও উচিত হবে না। ছাত্র-ছাত্রীর হাতে বই তুলে দেওয়া, ক্লাসে পড়ানো, দীর্ঘমেয়াদে ভালো শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা জরুরি।’
সময়মতো বই বিতরণে করণীয় কী
গণঅভ্যুত্থানের পর ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে আগেভাগে প্রস্তুতি শুরু করেছিল এনসিটিবি। তারা একটি রূপরেখাও ঠিক করেছিল। সেই রূপরেখা মেনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই বেশ আগেই প্রস্তুত করতে পেরেছে এনসিটিবি।
তবে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই ছাপানো শেষ করা সম্ভব হয়নি। শেষ সময়ে তোড়জোড় করে মাত্র ৫৮ শতাংশ (২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত) বই প্রস্তুত করা সম্ভব হয়েছে। এখনো ৪২ শতাংশ বই প্রস্তুতের কাজ বাকি, যা শেষ করতে আরও এক মাসের বেশি সময় লেগে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বই ছাপা-বিতরণ ঘিরে এমন ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে এনসিটিবি কী করছে—এমন প্রশ্নে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবার (২০২৬ সালের বই) আমাদের প্রস্তুতি ঠিক ছিল। রূপরেখাও ঠিক ছিল। তবে তিনটি শ্রেণির বইয়ের পুনঃদরপত্র হওয়ায় আমরা পিছিয়ে পড়েছি। আশা করি, আগামী বছর এ রূপরেখা সামনে রেখে কাজ করলে নভেম্বরের মধ্যে বই ছাপা শেষ হয়ে যাবে।’
তবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান। তিনি বলেন, ‘প্রথমে এনসিটিবিকে কার্যকর রোডম্যাপ (রূপরেখা) নিতে হবে। সেটা ফলো (অনুসরণ) করতে হবে। এরপর সবচেয়ে বড় কাজ হলো—দরপত্রে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। ফাঁক-ফোকর রাখা যাবে না। বড় প্রেসগুলো যাতে মনোপলি করতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পরিশীলিত দরপত্রের মাধ্যমে কাজের চুক্তির পর ইন্সপেকশন টিমকেও শক্তিশালী হতে হবে। এ কাজগুলো এনসিটিবি কঠোরভাবে করতে পারলে যথাসময়ে বই ছাপা ও বিতরণে কোনো সংকট থাকবে না।’
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে গত ২৮ ডিসেম্বর এনসিটিবিতে পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ নিয়ে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন। উত্তরে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বই ছাপার কাজ ঘিরে চক্র আছে। এ চক্র গণমাধ্যমেও প্রভাব বিস্তার করে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অনেক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে বই ছাপার কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি অসাধু চক্রের খপ্পরেও বই ছাপা-বিতরণের কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা আমরা করেছি। এবার তাতে অনেকটা পথ এগিয়েও গেছি। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামীতে বছরের প্রথম দিন শতভাগ পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস করি।’
এএএইচ/এএসএ/এমএফএ/জেআইএম