প্রাথমিকের নতুন শিক্ষকদের ঈদ-শিক্ষা ভাতা অনুমোদন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের ঈদ উৎসব ও শিক্ষা ভাতা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ বাবদ ২৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনের মধ্যে সুবিধাপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ মে (বৃহস্পতিবার) এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি ৪) এর সার-কম্পোনেন্ট প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের নির্মিত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে পিইডিপির আওতায় নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাক প্রাথমিক ও সহকারী শিক্ষকদের ঈদ-উল-আযহার উৎসব ভাতা এবং শিক্ষা ভাতা বাবদ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ বাবদ মোট ২৫ কোটি ২৬ লাখ ৩ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ অর্থ তালিকা প্রাপ্ত থানা/উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের অধীনে বরাদ্দ এবং ব্যয় করার মঞ্জুরি জ্ঞাপন করা হলো।
বলা হয়েছে, এ ব্যয় ২০২২-২৩ অর্থ বছরের উন্নয়ন বাজেটের সংশোধিত মঞ্জুরি নম্বর ২১, পিইডিপি’র আওতাভুক্ত অর্থনৈতিক কোডের অনুকূলে বরাদ্দ টাকা থেকে ব্যয় করা হবে।
আরও বলা হয়েছে, বরাদ্দ হওয়া অর্থ শতভাগ জিওবি (সরকারি অর্থায়ন) খাত থেকে ব্যয় নির্বাহ করতে হবে। কোনো অবস্থায়ই বরাদ্দ অর্থের অতিরিক্ত উত্তোলন/ব্যয় করা যাবে না। কোনো ক্রমেই সংযুক্ত থেকে বর্ণিত খাত এবং অর্থনৈতিক কোড ব্যতীত অন্য কোনো উপখাত এবং কোডে ব্যয় করা যাবে না। সরকারি আর্থিক বিধি বিধান অনুসরণপূর্বক অর্থ ব্যয় করতে হবে। এ ব্যয়ের যাবতীয় অডিট দপ্তরে সম্পাদিত হবে বিধায় খরচের সব ডাউচার অফিসে সংরক্ষণ করতে হবে যেন চাহিবা মাত্র পাওয়া যায়।
উল্লেখ করা হয়েছে, বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের বিবরণী অবশ্যই ডিপিইতে সাত দিনের মধ্যে অ্যান্ট্রি দিতে হবে। অন্যধায় পরবর্তী বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে না। কোনো প্রকার অনিয়মিত ব্যয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। এতে মহাপরিচালকের অনুমোদন রয়েছে। চিফ একাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যাশ অফিসারকে পৃষ্ঠাকোপূর্বক সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিসে (প্রয়োজন অনুযায়ী) প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
এমএইচএম/এমআইএইচএস/জিকেএস