দক্ষিণাঞ্চলের ২৩ রুটে সাধারণ নৌযান চলাচল বন্ধ


প্রকাশিত: ০২:১৮ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৬

দক্ষিণাঞ্চলের ১৮টি নদীর ৩ হাজার কিলোমিটার ডেঞ্জার জোন এলাকায় আগামীকাল বুধবার থেকে সাধারণ নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। প্রতি বছর বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়াই সাধারণ নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় ২১০ দিন ২৩টি রুটে উপকূলবাসীকে দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হয়।
 
ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথের মধ্যে বৃহত্তর বরিশালে ৪টি উপকূলীয় নৌরুট রয়েছে। এরমধ্যে অতি ঝুকিপূর্ণ দ্বীপজেলা ভোলার মীর্জাকালূ-নোয়াখালীর চর আলেকজন্ডার রুটের সী-ট্রাক গত দুই বছরের মতো এবারও বিপদজনক মৌসুমে চালু হচ্ছেনা। ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষীপুরের মজু চৌধুরীর রুটের সী-ট্রাক চালু হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে বলে বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানিয়েছে।

ফলে এ দুটি রুটের যাত্রীদের বিপদজনক মৌসুমে নিষিদ্ধ ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানে যাতায়াত করতে হবে। এ দুটি রুটের নৌযানগুলোকে প্রায় দেড়ঘণ্টা উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিতে হয়।



বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, ২০০০ সালে সারাদেশের উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার নৌপথকে ডেঞ্জার জোন হিসেবে চিহ্নিত করে সরকার। এ জন্য প্রতি বছর ১৫ মার্চ রাত ১২টা থেকে ১৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত টানা ৭ মাস (২১০দিন) বে-ক্রসিং ছাড়া যে কোনো ধরনের নৌযান চলাচল ওই জোনে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়।

দক্ষিণাঞ্চলে ১৮টি নদীর ৩ হাজার কিলোমিটার পথকে ডেঞ্জার জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই নৌপথে নৌ রুটে রয়েছে ২৩টি। প্রতি বছর ডেঞ্জার জোন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় পুরোটাতেই সাধারণ মানের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
 
ওই সকল রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের অভিযোগ সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে ডেঞ্জার জোনে বে-ক্রসিং বাদে সকল ধরনের জলযান চলাচল বন্ধ করে রাখছে। কিন্তু ওই সময় দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের চলাচলে বিকল্প তেমন কোনো ব্যবস্থা করেনি।
 
কয়েকজন লঞ্চ মাস্টার জানান, দক্ষিণাঞ্চলের ১৮টি নদীর যে অংশটিকে ডেঞ্জার জোন ঘোষণা করা হয়েছে তার প্রায় অর্ধেকাংশের বিভিন্ন স্থানে চর পড়ে যাওয়ায় পূর্বের সেই রুদ্ররূপ ধারণ করতে পারছে না নদীগুলো। ফলে কিছু কিছু এলাকাকে ডেঞ্জার জোনের আওতা থেকে মুক্ত করা সম্ভব।
 
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ) আবুল বাশার মজুমদার জানান, ১৫ মার্চ থেকে ডেঞ্জার জোন এলাকায় সকল ধরনের সাধারণ জলযান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেন, নতুন করে সার্ভে করা হলে ডেঞ্জার জোন থেকে কিছু এলাকা শান্ত বলে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ জানান, সাগর ও মেঘনার মোহনার উপকূলীয় ৩ হাজার কিলোমিটার নৌপথে প্রতিবছর ১৫ মার্চ রাত থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিপদজনক মৌসুম ঘোষণা করা হয়। বৃহত্তর বরিশালে উপকূলীয় নৌপথ হচ্ছে বরিশাল-লক্ষীপুর-মজুচৌধুরীর হাট, ভোলার ইলিশা-মজু চৌধুরীর হাট, ভোলার মীর্জাকালু-নোয়াখালীর চর আলেকজেন্ডার, ভোলার মনপুরা-শশীগঞ্জ রুট। এ রুটগুলোতে বে-ক্রসিং সনদ ব্যতিত অন্য কোনো নৌযান চলাচল করতে পারবেনা। বে-ক্রসিং সনদ ব্যাতিত অন্য সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করার জন্য নৌযান মালিক সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে মার্চের প্রথম সপ্তাহে চিঠি দেওয়া হয়েছে।  

বিআইডব্লিউটিসির বরিশালের উপ মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বরিশাল-মজু চৌধুরীর হাট রুটে খিজির-৮ এবং মনপুরা-শশীগঞ্জ রুটের শেখ কামাল বুধবার থেকে চলাচল শুরু করবে। ইলিশা-মজু চৌধুরীর হাট রুটে চলার জন্য খিজির-৫ এক সপ্তাহের মধ্যে ডক ইয়ার্ড থেকে ভোলায় পাঠানো হবে। আলেকজান্ডার-মীর্জাকালু রুটের সী-ট্রাক শহীদ শেখ জামাল ২০১৩ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। এবারও চালু করার কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি বিআইডব্লিউটিসির কেন্দ্রীয় দফতর।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, ২০০০ সালে সারাদেশের উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার নৌপথকে ডেঞ্জার জোন হিসেবে চিহ্নিত করে সরকার। এ জন্য প্রতি বছর ১৫ মার্চ রাত ১২টা থেকে ১৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত টানা ৭ মাস (২১০দিন) বে-ক্রসিং ছাড়া যে কোনো ধরনের নৌযান চলাচল ওই জোনে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়।

দক্ষিণাঞ্চলে ১৮টি নদীর ৩ হাজার কিলোমিটার পথকে ডেঞ্জার জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই নৌপথে নৌ রুটে রয়েছে ২৩টি। প্রতি বছর ডেঞ্জার জোন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় পুরোটাতেই সাধারণ মানের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
 
ওই সকল রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের অভিযোগ সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে ডেঞ্জার জোনে বে-ক্রসিং বাদে সকল ধরনের জলযান চলাচল বন্ধ করে রাখছে। কিন্তু ওই সময় দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের চলাচলে বিকল্প তেমন কোনো ব্যবস্থা করেনি।
 
কয়েকজন লঞ্চ মাস্টার জানান, দক্ষিণাঞ্চলের ১৮টি নদীর যে অংশটিকে ডেঞ্জার জোন ঘোষণা করা হয়েছে তার প্রায় অর্ধেকাংশের বিভিন্ন স্থানে চর পড়ে যাওয়ায় পূর্বের সেই রুদ্ররূপ ধারণ করতে পারছে না নদীগুলো। ফলে কিছু কিছু এলাকাকে ডেঞ্জার জোনের আওতা থেকে মুক্ত করা সম্ভব।
 
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ) আবুল বাশার মজুমদার জানান, ১৫ মার্চ থেকে ডেঞ্জার জোন এলাকায় সকল ধরনের সাধারণ জলযান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেন, নতুন করে সার্ভে করা হলে ডেঞ্জার জোন থেকে কিছু এলাকা শান্ত বলে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ জানান, সাগর ও মেঘনার মোহনার উপকূলীয় ৩ হাজার কিলোমিটার নৌপথে প্রতিবছর ১৫ মার্চ রাত থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিপদজনক মৌসুম ঘোষণা করা হয়। বৃহত্তর বরিশালে উপকূলীয় নৌপথ হচ্ছে বরিশাল-লক্ষীপুর-মজুচৌধুরীর হাট, ভোলার ইলিশা-মজু চৌধুরীর হাট, ভোলার মীর্জাকালু-নোয়াখালীর চর আলেকজেন্ডার, ভোলার মনপুরা-শশীগঞ্জ রুট। এ রুটগুলোতে বে-ক্রসিং সনদ ব্যতিত অন্য কোনো নৌযান চলাচল করতে পারবেনা। বে-ক্রসিং সনদ ব্যাতিত অন্য সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করার জন্য নৌযান মালিক সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে মার্চের প্রথম সপ্তাহে চিঠি দেওয়া হয়েছে।  

বিআইডব্লিউটিসির বরিশালের উপ মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বরিশাল-মজু চৌধুরীর হাট রুটে খিজির-৮ এবং মনপুরা-শশীগঞ্জ রুটের শেখ কামাল বুধবার থেকে চলাচল শুরু করবে। ইলিশা-মজু চৌধুরীর হাট রুটে চলার জন্য খিজির-৫ এক সপ্তাহের মধ্যে ডক ইয়ার্ড থেকে ভোলায় পাঠানো হবে। আলেকজান্ডার-মীর্জাকালু রুটের সী-ট্রাক শহীদ শেখ জামাল ২০১৩ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। এবারও চালু করার কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি বিআইডব্লিউটিসির কেন্দ্রীয় দফতর।

সাইফ আমিন/এমএএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।