‘রাহুর দশা’ কাটেনি চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের

সালাহ উদ্দিন জসিম
সালাহ উদ্দিন জসিম সালাহ উদ্দিন জসিম , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৩ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির রাহুর গ্রাস থেকে বেরোতে পারছে না চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁবিপ্রবি)। হাইকোর্টের অবজারভেশন থাকা সত্ত্বেও বিতর্কিত দলিল ও তার মূল্যের ওপর নির্ভর করে ১০ গুণ বাড়ানো হয়েছে মৌজার রেট। সে আলোকেই বেশ গোপনীয়তার সঙ্গে জমি অধিগ্রহণের ব্যয় প্রাক্কলন তৈরির কাজ চলছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিষয়টি নিয়ে চুপ। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সরাসরি অস্বীকার করছেন। মন্ত্রণালয় থেকেও মিলছে না সুনির্দিষ্ট বক্তব্য। তবে সংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন, অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো এই মৌজা রেটে জমি অধিগ্রহণের ব্যয় প্রাক্কলন করলে রাষ্ট্র আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এ সংক্রান্ত বিল ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সংসদে পাস হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর সরকারি গেজেটের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু। ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে চাঁবিপ্রবির উপাচার্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার।

২০২৩ সালের মে মাসে শহরের খলিশাডুলি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (CSE), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) ও ব্যবসায় প্রশাসন (BBA) বিষয়ে সম্মান কোর্স চালু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।

জমি অধিগ্রহণে ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ

খোদ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নির্বাচনী এলাকার এ বিশ্ববিদ্যালয়টির জমি অধিগ্রহণ তার স্বজনদের দুর্নীতির জালে আটকানোর অভিযোগ ওঠে। চাঁদপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এ অভিযোগ তোলেন। ভূমি মন্ত্রণালয়কে লেখা এক চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘চাঁদপুর সদর উপজেলার ১১৫ নম্বর লক্ষ্মীপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নির্ধারিত বাজারমূল্য অনুযায়ী নাল, বাড়ি/বাগান, পুকুর/ডোবা ও ভিটি শ্রেণির মূল্য পর্যায়ক্রমে ১৩ হাজার ৮০২ টাকা, ২৩ হাজার ৯৬৬, ৩৮ হাজার ৯৫৬ এবং ৩৩ হাজার ২৯৪ টাকা ধরে প্রকল্প প্রাক্কলন দাঁড়ায় ১৯৩ কোটি ৯০ লাখ ৬৫ হাজার ৫০৭ টাকা। কিন্তু দেখা যায়, সবশেষ নির্ধারিত মৌজা মূল্যের তুলনায় অধিগ্রহণের জন্য সংগৃহীত দরপত্র চরম অস্বাভাবিক।’ অর্থাৎ আগে সেটির প্রাক্কলন মূল্য দেখানো হয়েছিল ৫৫৩ কোটি টাকা। যাতে সরকারের ৩৫৯ কোটি ১৬ লাখ ৬১ হাজার ৭৮২ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।

বিষয়টি সেসময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি স্বাভাবিক ও সহজভাবেই নেন। সংশ্লিষ্টরাও নিজেদের শুদ্ধ দাবি করে আরও বেশি দাম চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। যদিও আদালত তাদের তিরস্কার করে বলেন, ‘১৩৯টি দলিল অসৎ উদ্দেশ্যে সম্পাদিত।’ একই সঙ্গে তাদের কোটি টাকা জরিমানা করেন আদালত।

আরও পড়ুন>> স্বজনদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ: যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

অস্বাভাবিক মৌজা রেট, বিপাকে অন্যরাও

২০২২ সালের জানুয়ারিতে জমি অধিগ্রহণের মন্ত্রীর স্বজনদের দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। জুন মাসে আদালতের রায় আসে। এরই মধ্যে থেমে যায় ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম। অবশ্য, থামেনি সেই দুষ্টচক্র। একই বছরের নভেম্বরে তারা হাইকোর্টের আদেশে বলা ‘অসৎ উদ্দেশ্যে সম্পাদিত’ সেই ১৩৯ দলিলের অস্বাভাবিক মূল্য ধরেই ১০ গুণ বাড়িয়েছে লক্ষ্মীপুর মৌজা রেট। নাল জমি শতাংশপ্রতি ১৩ হাজার ৮০২ থেকে এক লাফে ১ লাখ ৬২ হাজার ৬৫ টাকা করা হয়েছে। অথচ পাশের মৌজা উত্তর বালিয়ায় ২৪ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার টাকায়। চাপিলা মৌজায় রেট ৪০ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৪২ হাজার। ব্রাহ্মণসুখায়া মৌজায় রেট ৩৭ হাজার থেকে বেড়ে ৪৩ হাজার টাকা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর মৌজায় অস্বাভাবিক অতিরিক্ত রেটের কারণে সেখানকার বাসিন্দারা পড়ছেন বিপাকে। ৬২ দশমিক ৫৪৯ একর জমি ছাড়াও অন্য জমিগুলো কেনাবেচা করতে পারছেন না তারা। খোদ সাব-রেজিস্ট্রার বলছেন, অতিরিক্ত মৌজা রেটের কারণে আগের তুলনায় ওই মৌজায় অনেক কমে গেছে দলিল সম্পাদনের হার।

বাড়তি মৌজা রেটের কারণে ব্যয় প্রাক্কলনও ১০ গুণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

ব্যয় প্রাক্কলনসহ মন্ত্রণালয়ের একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

২১ আগস্ট ‘চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন ও আনুষঙ্গিক কাজ’ শীর্ষক প্রকল্পের যাচাই কমিটির সভা হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষের ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মন্ত্রণালয়ের এ বৈঠকে উপাচার্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ছয় কর্মকর্তা ও মন্ত্রীর একান্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ৬২ দশমিক ৫৪৯ একর জমি অধিগ্রহণ বাবদ ১৯৩ কোটি ৯১ লাখ টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে, যা ২০২১ সালের তথ্য/উপাত্তের ভিত্তিতে প্রণীত। তাই প্রস্তাবিত অর্থে জমি অধিগ্রহণ সম্ভব হবে কি না তার পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন>> চূড়ান্ত অনুমোদন পেল চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন

এ পর্যায়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এরই মধ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার জমির মৌজা রেট পরিবর্তিত হয়েছে। প্রস্তাবিত অর্থে জমি অধিগ্রহণ সম্ভব হবে না।’ তাই তিনি বর্তমান মৌজা রেটের আলোকে জমি অধিগ্রহণ খাতের ব্যয় প্রাক্কলন করা দরকার উল্লেখ করে সে আলোকে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্য মহোদয়কে অনুরোধ জানান।

ওই সভায় পাঁচটি সিদ্ধান্ত হয়। যার প্রথমটিই ছিল- বর্তমান মৌজা রেটের আলোকে প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত জমির ব্যয় প্রাক্কলন জেলা প্রশাসক, চাঁদপুর থেকে সংগ্রহ করে ডিপিপিতে প্রস্তাব করতে হবে।

‘রাহুর দশা’ কাটেনি চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের

সংশ্লিষ্টদের লুকোচুরি, বক্তব্যে ভিন্নতা

মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে চিঠি চালাচালি ও মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম চলছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তথ্য দিচ্ছেন না।

এ বিষয়ে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতারের কাছে জানতে চাইলে একেকবার একেক রকম কথা বলেন। তিনি জাগো নিউজকে উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, ‘সিদ্ধান্ত আপনি পেয়েছেন? কোথা থেকে পেলেন? মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত তো রেজ্যুলেশন আকারে সই হয়ে আমার কাছে আসবে। তার আগে তো আমি বলতে পারবো না।’

মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য। পরে রেজ্যুলেশন আকারে তার কাছে পৌঁছেছে এবং সে আলোকে তিনি কার্যক্রম পরিচালনাও করছেন। তারপরও মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত বিষয়ে উপাচার্যের কাছে বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা যুক্তিযুক্ত নয়? তারা তো কর্তৃপক্ষ। আমি তো প্রাক্কলন সরাসরি চাইনি। যদি চেয়েও থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চেয়েছে।’

আরও পড়ুন>> চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাছিম

‘বিতর্কিত মূল্যে’ জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘নতুন করে অধিগ্রহণের কোনো কাজ আমরা এখনো শুরু করিনি। আমাদের কাছে এমন কোনো চিঠি আসেনি।’

ব্যয় প্রাক্কলনের অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (রাজস্ব শাখা, এল. এ শাখা) আখতার জাহান সাথী জাগো নিউজকে বলেন, প্রাক্কলন চেয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে। দ্রুতই কাজ এগোচ্ছে। তবে, মৌজা রেট অনুযায়ী হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিয়ম মোতাবেকই হবে।’

এ বিষয়ে হাইকোর্টে সরকারের পক্ষে লড়েছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) মাইনুল হাসান। তার কাছে মৌজা রেট নির্ধারণ ও সে অনুযায়ী ব্যয় প্রাক্কলন বৈধ কি না জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, অধিগ্রহণের ভিত্তিমূল্য কী, জানতে হবে। আগে মৌজা মূল্যের পাশাপাশি কিছু দলিলের মূল্য ধরে একটা ব্যয় প্রাক্কলন ধরা হয়েছিল। সেখানে ১৯৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা চেয়েছেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। এটাও কিন্তু বাড়তি টাকা। তারপরও ক্ষুব্ধ হয়েছেন সেলিম খানসহ তিনজন। তারা ওই মূল্য চ্যালেঞ্জ করে আরও বেশি মূল্য দাবি করে মামলা করলেন। কোর্ট সেটা নিষ্পত্তিও করেছেন। কোর্ট রায়ে বলেছেন, ১৩৯টি দলিল অসৎ উদ্দেশ্যে সম্পাদিত।

তিনি বলেন, মৌজা রেট কীভাবে বাড়িয়েছে আমি জানি না। তবে অসৎ উদ্দেশ্যে সম্পাদিত ওইসব দলিলের ওপর ভিত্তি করে মৌজা রেট বাড়ানোর সুযোগ নেই। এটি আইনসম্মত হবে না। এর ভিত্তিতে ব্যয় প্রাক্কলন করারও সুযোগ নেই, করলেও সঠিক হবে না। রাষ্ট্র আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।’

‘রাহুর দশা’ কাটেনি চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের

সমাধানে মিলেছে তিন পরামর্শ

চাঁদপুর সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার এ কে এম মাহমুদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের মৌজা রেট নির্ধারণ হয় গড় মূল্যের ওপর ভিত্তি করে। যেহেতু দলিলগুলো সম্পাদিত হয়েছে, বাতিল হয়নি সেক্ষেত্রে মৌজা রেটে এগুলো বাদ দেওয়ারও সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না।’

এ বিষয়ে সমাধান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটা হতে পারে- আদালত বা অন্য কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষ বা আমার কর্তৃপক্ষ যদি চিঠি দিয়ে বলে- ওই দলিলগুলো আমলে না নিয়ে নতুন করে মৌজা রেট তৈরি করেন। তখন আমরা সেটা রিভাইস করতে পারি। অথবা সরকার অধিগ্রহণের সময় এক বছরের যে গড় মূল্যটা আমাদের কাছ থেকে নেয়, সে সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয় যদি এ দলিলগুলোর মূল্য বাদ দিয়ে গড় মূল্য নেয়, তাহলে রেট অনেক কমে যাবে। আগের মৌজা রেটের কাছাকাছি চলে যাবে। তাহলে আর অসৎ উদ্দেশ্যে সম্পাদিত দলিলের উদ্দেশ্য সাধিত হবে না।’

‘মৌজা রেট বাড়ার কারণে ওই মৌজায় দলিল সম্পাদনের হার অনেক কমে গেছে’ বলেও জানিয়েছেন উপজলার এই সাব-রেজিস্ট্রার।

তবে জেলা রেজিস্ট্রার মহসিন আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘দলিলের মূল্য বা মৌজা রেট নিয়ে কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়, তাহলে তিনি আইজিআর মহোদয়ের কাছে লিখিত আবেদন করতে পারেন। তিনি সেটা রিভাইস করতে পারেন। কিন্তু আমাদের কাছে এমন কোনো অভিযোগ আসেনি। আর অধিগ্রহণে তো আমাদের মূল্য অনুসরণ করে না। আমি যতটুকু জানি, অধিগ্রহণের জন্য এলএ শাখা থেকে লোক পাঠায়। তারা দলিল দেখে মূল্য যাচাই করে নিজেরাই গড় করে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত প্রায় পাঁচ বছরে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে। গত ১৫ বছরে আমার এলাকায়ও অসংখ্য জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। কোথাও আমার বক্তব্যের প্রয়োজন হয়নি। এখানেও তার কোনো ব্যতিক্রম হওয়ার কোনো কারণ ছিল না, এখনো নেই। আমাকে জড়ানোর চেষ্টাটা বরং কোনো কোনো মহলের অসৎ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

এসইউজে/এএসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।