সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ চান শিক্ষাবিদরা, বিরোধী আমলারা

আল-আমিন হাসান আদিব
আল-আমিন হাসান আদিব আল-আমিন হাসান আদিব , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০২ এএম, ১৬ মে ২০২৪

দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে সরকারি চাকরি। সুযোগ-সুবিধা ও নিশ্চয়তা বিবেচনায় নিচের গ্রেডের চাকরির জন্যও ঝাঁপিয়ে পড়ছেন উচ্চতর ডিগ্রিধারীরা। এর মধ্যে অনেকে বয়সসীমা পেরিয়ে গেলেও থেকে যাচ্ছেন বেকার। তাদের বড় একটি অংশ কয়েক বছর ধরে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তাদের দাবি—বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করা হোক।

এ দাবির সঙ্গে একমত দেশের শিক্ষাবিদরা। তারা চান ৩৫ না হোক অন্তত ৩২ হলেও করা হোক। আর আমলারা বলছেন, সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এটা করলে বেকার সমস্যা ভয়াবহ রকম বাড়বে।

সরকার ৩৫ প্রত্যাশীদের দাবি পূরণে সেভাবে কখনই আগ্রহ দেখায়নি। উল্টো এ দাবিতে আন্দোলনে নামাদের লাঠিপেটা ও ব্যাপক হারে গ্রেফতার করে দমিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বয়সসীমা বাড়াতে সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন। মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনাও হয়। বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়ে সরকারপ্রধানের সাড়ার অপেক্ষায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশের পর ‘৩৫ প্রত্যাশী চাকরিপ্রার্থীরা’ দীর্ঘদিন পর কঠোর আন্দোলনে নেমেছেন। গত ১২ মে থেকে প্রতিদিন তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ ও শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। বয়সসীমা না বাড়ানো পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি ১৯ মের পর আমরণ অনশন কর্মসূচি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ চান শিক্ষাবিদরা, বিরোধী আমলারা

শুধু রাজনীতিবিদ নন, শিক্ষাবিদরাও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবির পক্ষে। তারা এটিকে সময়ের দাবি বলেও উল্লেখ করছেন। তবে ঠিক উল্টো সুর সাবেক আমলাদের কণ্ঠে। তারা মনে করেন, বয়সসীমা ৩০ বছরই যথেষ্ট। এর চেয়ে বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। সরকার যদি বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাতে দীর্ঘমেয়াদে বেকার আরও বাড়বে বলেও মনে করেন সাবেক ও বর্তমান সচিবরা।

‘বয়সসীমা বাড়ানো খুবই যৌক্তিক’
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও। তিনি মনে করেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো খুবই যৌক্তিক। অন্তত দুই থেকে তিন বছর হলেও বাড়ানো উচিত। একইসঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত সময়ে শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

অধ্যাপক আব্দুল মান্নান জাগো নিউজকে বলেন, ‘১৯৯১ সালে চাকরির বয়সসীমা ৩০ বছর করা হয়। এরপর কিন্তু অবসরের বয়স বেড়েছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। তাহলে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়বে না কেন? এটা নিয়ে আমি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, অনেক লেখালেখিও করেছি। আমি মনে করি, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বয়স বাড়ানো উচিত।’

বয়সসীমা বাড়ানো হলে কর্মক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমার মনে হয় না তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে হ্যাঁ, শুধু বয়স বাড়ালে হবে না। সঙ্গে গ্র্যাজুয়েটদের দক্ষতা, সফট স্কিলস, ল্যাঙ্গুয়েজ স্কিল বাড়াতে হবে। অদক্ষ, মাথাভারী করা কর্মী দিয়ে তো কোনো কাজই হবে না। সরকারের লক্ষ্য যেহেতু কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকার কমানো, সেক্ষেত্রে জনশক্তি উদ্ভাবনমুখীও করতে উদ্যোগ নিতে হবে।’

অর্থনীতি ও উন্নয়নবিদ হিসেবে সুপরিচিত হলেও শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিয়েও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনিও বয়সসীমা কিছুটা বাড়ানোর পক্ষে। কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘সরকারি চাকরির চাহিদা ব্যাপক। সেই অর্থে সুযোগ কম। চাকরি পাওয়া যায় না। অনেক শিক্ষিত বেকার রয়েছেন। তাদের বয়স বাড়ছে, কাজ তো পাচ্ছেন না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি মনে করি বয়স বাড়ালে বাড়ানো যায়।’

সেশনজট, চাকরির নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বয়স বাড়ানো যৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে অশিক্ষিত তো কাউকে বলা যাবে না। বেকার তো প্রায় সবই শিক্ষিত গোষ্ঠীর মধ্যে। পড়ালেখা ঠিকমতো শেষ করতেই অনেক ক্ষেত্রে বয়স পার হয়ে যায়। মাস্টার্স পাস করতে করতেই ২৩-২৪ বছর হয়ে যায়। ৫-৬ বছর এখানে-ওখানে দরখাস্ত করতে থাকে। কিন্তু চাকরি মেলে না। আমি তো দেখেছি, ব্যাংকে ৩০০ জন নিয়োগ দেবে, অথচ আবেদন করেন কয়েক লাখ প্রার্থী। সেজন্য বয়সটা আরেকটু বাড়িয়ে দিলে তরুণ-যুবকদের জন্য ভালো হতো।’

সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ চান শিক্ষাবিদরা, বিরোধী আমলারা

লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘চাকরির বয়সসীমা কতটা হবে, তা বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলভেদে ঠিক করা হয়। বাংলাদেশে সবাই সরকারি চাকরি খোঁজে। আমি এটার পক্ষে নয়। তবে কারও মেধা বয়সের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দেওয়ারও পক্ষে নয়। এজন্য বয়স আরও বাড়ানো দরকার আছে বলে মনে করি।’

চাকরি খুঁজতেই তারুণ্য ফুরোলে দেশকে কী দেবে?
সাবেক শিক্ষা সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান। তিনি এন আই খান নামে পরিচিত। দায়িত্ব পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব (পিএস) হিসেবেও। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হলেও দেশের শিক্ষা জগতে তিনি ব্যাপক পরিচিত। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর আন্দোলনের যৌক্তিকতা দেখেন না তিনি। তার ভাষ্য, ‘আমি ৩৫ বছর করার ঘোর বিরুদ্ধে।’

এন আই খান বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে চাকরি খুঁজবে, চাকরিটা করবে কবে? শিখবে কবে? বিয়ে করবে কবে? ছেলেমেয়েদের লালন-পালন করবে কবে? রিটায়ারমেন্টের (অবসর) আগে যে সময়টুকু পাবে, সেই কয় বছরে সে কী এমন কন্ট্রিবিউট (অবদান) করবে।’

আরও পড়ুন

দেশের চাকরিপ্রার্থীদের ‘ভয়ংকর অভ্যাস’ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চাকরির জন্য পড়াশোনা যারা করে, তারা অন্য কিছুই করে না। তারা দুনিয়া থেকে আলাদা হয়ে ঘরের কোণে বসে পড়তেই থাকে। সেটাতেই তার যে প্রোডাকটিভ এজ; অর্থাৎ, ২৫-৩৫ বছর, সেটা চাকরি খুঁজতেই শেষ। চাকরি খুঁজতেই যদি তারুণ্য ফুরিয়ে যায়, দেশকে তিনি কী দেবেন?’

বয়সসীমা ৩৫ বছর করলে রাষ্ট্র ও সমাজের ক্ষতি হবে বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘৩৫ বছর করাটা দেশের জন্য ক্ষতি, জাতির জন্যও ক্ষতিকর। তারচেয়েও বেশি ক্ষতি হলো—ওই ছেলে বা মেয়ের জন্য যে কি না, ৩৫ বছর ধরে চাকরি খুঁজবে। আর কোনো প্রোডাক্টিভিটি তার মধ্যে থাকবে না। ৩৫ বছর মানে প্রায় মধ্যবয়স হয়ে যায়। এখন যে ৩০ বছর আছে, সেটাই আরও কমানো উচিত। চাকরিতে আরও কম বয়সে ঢোকা উচিত।’

চাকরির বয়সসীমা বাড়ালে দেশে যে বেকারত্ব বিদ্যমান, তা আরও বাড়বে বলে মনে করেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বয়স কিছুটা বাড়ানোর সুযোগ দিলে আরও বড় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। বর্তমানে যত সংখ্যক শিক্ষিত তরুণ চাকরির জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করছে, বয়সসীমা বাড়ানো হলে আরও বেশি সংখ্যক তরুণ একই অপেক্ষায় সময় পার করবে।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদে এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে, সমাজে চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যদি এক কথায় বলি সেটা হলো—শিক্ষিত বেকার ভয়াবহ রকম বেড়ে যাবে। পরিবারগুলো চরম বিপাকে পড়বে। রাষ্ট্র শিক্ষিত তরুণদের কাছ থেকে প্রোডাক্টিভ (উৎপাদনমুখী) এবং উদ্ভাবনী কোনো সহযোগিতা পাবে না। সব মিলিয়ে সমাজে নেতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।’

সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ চান শিক্ষাবিদরা, বিরোধী আমলারা

বয়স বাড়ানোর পক্ষে নন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত বর্তমান কর্মকর্তারাও। মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগের একজন উপসচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, ‘বয়সসীমা বাড়ানোর ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের কোনো ইতিবাচক অবস্থান নেই। যেহেতু বিষয়টি রাজনীতিকরা নতুন করে আলোচনায় এনেছেন সেজন্য রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত হোক বলেই অভিমত দিচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। কেউ বয়স এতটা বাড়ানোর পক্ষে নয়। তবে হ্যাঁ, সরকারপ্রধান যদি এতে (৩৫ বছর করার পক্ষে) সায় দেন, তখন তো কারও কিছু বলার থাকবে না।’

শিক্ষামন্ত্রী ও আন্দোলনকারীরা যা বলছেন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ৪ মে জাগো নিউজকে বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আমি আমার মতামত তুলে ধরে চিঠি দিয়েছিলাম। শুধু জনপ্রিয়তাকে অর্থাৎ, চাকরিপ্রার্থীরা দাবি জানাচ্ছেন বলে আমি চিঠি দিইনি। সরকারের লক্ষ্য, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার এবং সার্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখেই চিঠিটা দিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে নিশ্চয়ই ভালো সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই বিশ্বাসও আমাদের তরুণদের রয়েছে।

তবে গত ১২ মে মন্ত্রী এ নিয়ে গণমাধ্যমে ভিন্ন কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার দেওয়া সুপারিশপত্রকে পুঁজি করে অনেকেই জল ঘোলা করার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে জনপ্রশাসনমন্ত্রী জাতীয় সংসদে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্তটা কী। চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে যে এখন সিদ্ধান্ত নেই, সেটা বলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আমার সুপারিশপত্রটি পুঁজি করে এক পক্ষ সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আমি তাদের বলবো, এটা অত্যন্ত একটা খারাপ কাজ তারা করছেন।

বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকাদের মধ্যে অন্যতম খাদিজা খাতুন মুক্তা। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেশে এখন ২৬ লাখ বেকার। তাদের মধ্যে অধিকাংশই বয়সসীমা পার করায় চরম হতাশায় ভুগছেন। বয়সের কারণে অর্জিত সনদ অকেজো হয়ে যাবে, এটা হতে পারে না। যেহেতু অবসরের বয়স ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়েছে, সেটা যদি আরও এক-দুই বছর বাড়ানো হয়, তাহলে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমাও বাড়ানো সম্ভব। সরকার অবিলম্বে আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বয়সসীমা কত?
দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি তোলা চাকরিপ্রার্থীরা সব সময় পার্শ্ববর্তী দেশগুলো এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদাহরণ টানেন। অন্য দেশে বাংলাদেশের চেয়েও বয়সসীমা বেশি উল্লেখ করে তাদের দাবি যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান বাদে সবকটি দেশেই বয়সসীমা বেশি।

সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ চান শিক্ষাবিদরা, বিরোধী আমলারা

ভারতে রাজ্যভেদে ও চাকরির ধরন অনুযায়ী অবশ্য বয়সসীমা ভিন্ন। তবে প্রশাসনিক চাকরির ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৪২ বছর। আবার অনগ্রসর শ্রেণির প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের সর্বোচ্চ সীমা ৩৫ বছর।

শ্রীলঙ্কায় আগে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ছিল ৩৫ বছর। ২০২০ সালে দেশটিতে বয়সসীমা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে ৪০ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারেন শ্রীলঙ্কানরা। নেপালে ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩৫ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। তবে নারী ও প্রতিবন্ধীরা ৪০ বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন।

তবে পাকিস্তানে বাংলাদেশের মতোই সরকারি চাকরিতে বয়সের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। বিশেষ কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর বয়সীরাও পাকিস্তানে সরকারি চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পান।

এএএইচ/এএসএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।