মামলায় আটকা পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:২৩ এএম, ২৮ মে ২০২৪

জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) অধীনে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। তবে প্রতিটি নিয়োগের সময়ে দেখা দেয় আইনি জটিলতা। নানা কারণে চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। এতে আটকে যায় নিয়োগের সুপারিশ প্রক্রিয়া। আইনি জটিলতায় সময়ক্ষেপণে বিপাকে পড়েন প্রার্থীরা।

বরাবরের মতো এবারও আইনি জটিলতায় আটকে গেছে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ। উচ্চ আদালতে একটি রিটের কারণে এ জটিলতায় পড়েছে সংস্থাটি। পাশাপাশি আগের গণবিজ্ঞপ্তিতে ভুল চাহিদায় সুপারিশ পাওয়াদের নিজ জেলায় নিয়োগের সুপারিশ করা নিয়েও তৈরি হয়েছে জটিলতা। এ দুই কারণে আটকে গেছে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ।

যদিও এনটিআরসিএর কর্মকর্তাদের দাবি, দুটি জটিলতায় খুব দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। এরমধ্যে সুপারিশের সব প্রস্তুতি নেবে কর্তৃপক্ষ। জটিলতা নিরসন হলে ঈদুল আজহার আগেই শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করা হবে।

এনটিআরসিএর ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা নাম-পরিচয় প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে জানান, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ভুল চাহিদায় সুপারিশপ্রাপ্তদের পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ। তবে এসব প্রার্থীদের কোন প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ করা হবে, তা নিয়ে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি পদ ফাঁকা রাখা সংক্রান্ত একটি রিটের কারণে প্রাথমিক সুপারিশ আটকে গেছে।

তবে জটিলতার বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এনটিআরসিএর সচিব ওবায়দুর রহমান। সোমবার (২৭ মে) রাতে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের কাজ চলছে। সুপারিশ করার জন্য সব দিক গুছিয়ে নিতে হয়। তা না হলে পরে আবার জটিলতার সৃষ্টি হয়। যেভাবে এখন কাজ চলছে, তাতে ঈদের আগেই পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগে প্রাথমিক সুপারিশ করা সম্ভব হবে।’

গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এরমধ্যে স্কুল ও কলেজে পদ সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৮৬। আর মাদরাসা ও কারিগরিতে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৭ এপ্রিল থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হয়, শেষ হয় ২৩ মে।

তবে এবার গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগ পেতে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ২৩ হাজার ৯৩২ জন প্রার্থী। যাচাই-বাছাইয়ে তাদের মধ্যেও অনেকে বাদ পড়তে পারেন। সেই হিসাবে আবেদন দাঁড়াতে পারে সাড়ে ২২ হাজার থেকে ২৩ হাজারের মধ্যে। অর্থাৎ, শূন্য থাকলেও প্রার্থী না থাকায় ৭৩ হাজারের বেশি পদ ফাঁকাই থাকবে।

জানা গেছে, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র ১৬ ও ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পেরেছেন। তবে ১৬তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ অধিকাংশ প্রার্থী চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন।

ফলে আবেদন আরও কমেছে। এছাড়া ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হলেও বয়স শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই আবেদন করতে পারেননি। বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ায় পদ ফাঁকা থাকলেও সেই অনুযায়ী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।

এএএইচ/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।