পাঠাগারের আয়োজন
বেগম রোকেয়া স্মরণে সাহিত্য আড্ডা
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া স্মরণে সাহিত্য আড্ডা ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে প্যাপিরাস পাঠাগার। ৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুরের জেএম সেনগুপ্ত রোডে প্যাপিরাস পাঠাগার কার্যালয়ে এ আড্ডার আয়োজন করা হয়।
পাঠাগারের প্রধান পরিচালক মিজানুর রহমান স্বপনের সভাপতিত্বে বেগম রোকেয়ার ‘জীবন ও সাহিত্য’ সম্পর্কে আলোচনা করেন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি, উপদেষ্টা দিলীপ ঘোষ, মোহাম্মদ শাহ আলম, রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম, ইনার হুইল ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিতু আক্তার, ভাসানী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংঘের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম রাজিব, স্কুলশিক্ষক সিত্তূল মুনা চৈতী, সাহিত্যানুরাগী ঝরনা আক্তার, ফারজানা ও সাংবাদিক জামাল আখন্দ।
অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি বলেন, ‘বেগম রোকেয়া নারী সমাজকে জাগ্রত করেছেন। শুধু ঘর গোছানোর দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীরা যে সমান অবদান রাখতে পারেন; সে বিষয়ে পিছিয়ে পড়া নারী সমাজকে তিনি জাগিয়ে তুলেছেন। একটু দেরীতে হলেও তাঁর সাহিত্য এবং সংগ্রাম সফলতার মুখ দেখেছে। নারীরা এখন সব দিকেই যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন।’
আরও পড়ুন
বই পড়িয়ে আলো ছড়াচ্ছেন জামাল হোসেন
বুক অলিম্পিয়াড একটি স্বপ্ন অভিযাত্রা: রহমান রাজু
সভাপ্রধান মিজানুর রহমান স্বপন বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার হাত ধরে নারী উন্নয়নের যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, তার সুফল এখনকার নারীরা ভোগ করছেন। তাঁর আন্দোলন সংগ্রামের পথটুকু পুষ্পসজ্জিত ছিল না। তিনি অনেক লড়াই করে নারীদের গৃহকোণ থেকে বাইরে এনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার ‘জীবন ও সাহিত্য’ সম্পর্কে প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নেন বক্তারা। সবশেষে চা চক্রের আয়োজন করা হয়। পাঠাগারকে সমৃদ্ধ করতে অনুষ্ঠানের পর ইনার হুইল ক্লাবের পক্ষ থেকে বেশ কিছু বই উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি’ জরিপে ৬ষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ছোটগল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, বিজ্ঞান কল্পকাহিনি ও শ্লেষাত্মক রচনায় রোকেয়ার স্টাইল ছিল স্বকীয় বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। তিনি ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
এসইউ