বই মেলায় যুদ্ধ শেষে যুদ্ধের গল্প


প্রকাশিত: ০৩:১১ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

কেউ সরাসরি যুদ্ধ করেছেন। কেউ দেখেছেন। আবার কেউ শুধুই শুনেছেন। চেতনার পার্থক্য হয়তো নেই। তবে অনুভূতির ব্যাখ্যায় রয়েছে ভিন্নতা। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখিকা শিল্পী রহমানের এমনই ভিন্ন আঙ্গিকের একটি বই এসেছে অমর একুশে বই মেলায়।

বইটির শিরোনাম, যুদ্ধ শেষে যুদ্ধের গল্প। গল্পটি শুরু হয়েছে এভাবে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি বেশ ছোট ছিলাম। তাই যুদ্ধ নিয়ে যতটা বুঝেছি তার চেয়ে বেশি বুঝেছি মুক্তিযুদ্ধ আমাকে কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছে। ছোটবেলা থেকে অনেক ভেবেছি যুদ্ধ আসলে কোনটা? নয় মাসের দেশ স্বাধীন করবার সেই যুদ্ধটা নাকি যুদ্ধোত্তর বেঁচে থাকাটা।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক লেখা আছে বইটিতে। অনেক অভিমত, মতামত, আলোচনা এবং সমালোচনাও আছে সেখানে। কিন্তু যুদ্ধোত্তর সংগ্রামের গল্প কেবল তারাই জানে যারা এই সংগ্রামের সংগ্রামী। বইটির লেখিকা শিল্পী রহমান শহীদ পরিবারের সন্তান। যুদ্ধোত্তর বেঁচে থাকার নানা সংগ্রাম আর পারিবারিক অসঙ্গতি উঠে এসেছে গল্পের ছলে। ভাষাচিত্র প্রকাশনীর ব্যানারে বাজারে এসেছে বইটি। অমর একুশে বইমেলার ৪১৫-৪১৬ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশ নেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ফাহমিদা নবী, ইঞ্জিনিয়ার আলতাফুর রহমান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মুস্তফা।

অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত করা হয় “যুদ্ধ শেষে যুদ্ধের গল্প” বইটির গল্প যাকে ঘিরে আবর্তিত, সেই পরিবারের নিভৃত সংগ্রামী মা মিসেস রওশন বেগম।  

এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।