ত্রিশ বছর পরও অমর ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৫
ত্রিশ বছর পরও অমর শাহরুখ-কাজলের ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’

ত্রিশ বছর আগে ১৯৯৫ সালের ২০ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছিল আদিত্য চোপড়ার চলচ্চিত্র ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’। ছবিটিকে ছোট করে ডিডিএলজে বলে ডাকা হয়। সেই দিন থেকে আজও এই সিনেমা ভারতীয় সিনেমার প্রেমকাহিনীর অন্যতম প্রতীক হিসেবে দেশের এবং বিদেশের দর্শকদের হৃদয়ে অমর।

এই ঐতিহাসিক সিনেমার ৩০ বছর পূর্তির মুহূর্তে তারকা জুটি শাহরুখ খান ও কাজল তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।

ছবিটি রাজ ও সিমরান নামের দুই যুবকের প্রেমের গল্প ফুটিয়ে তুলেছে। তারা ইউরোপে ছুটিতে গিয়ে প্রেমে পড়ে। কিন্তু সিমরানের বাবা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। সিনেমাটি মুম্বাইয়ের মারাঠা মন্দির সিনেমা হলে দীর্ঘ সময় ধরে চলার রেকর্ড রাখে এবং এখনও প্রদর্শিত হচ্ছে।

শাহরুখ খান বলেন, ‘মনে হচ্ছে না যে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ মুক্তি পেয়েছে ৩০ বছর হয়েছে। বিশ্বজুড়ে মানুষের ভালোবাসা পেয়ে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। এ সিনেমার মাধ্যমে কত দম্পতি প্রেমে পড়েছে বা বিবাহিত হয়েছে, তা শুনে আমি অবাক হই।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই সিনেমার সাফল্যের মূল কারণ হলো আমরা সবাই মনের সততার সঙ্গে এটি করেছি, এবং আদি চোপড়ার স্পষ্ট ধারণা, পাশাপাশি যশ চোপড়ার আশীর্বাদ।’

কাজল কাহিনী ও চরিত্রের গুরুত্বে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সিমরান চরিত্রটি এমন একটি অধ্যায় যা কখনও শেষ হয়নি। সে দেশজুড়ে কোটি কোটি মেয়ের প্রতিনিধিত্ব করে যারা পরিবারকে সম্মান জানায়, প্রথার সঙ্গে চলে কিন্তু স্বাধীনতার জন্যও হাত বাড়ায়। তাই এই চরিত্র এখনও হৃদয় স্পর্শ করে।’

কাজল আরও বলেন, ‘যে দর্শকরা ১৬ বছর বয়সে সিনেমাটি পছন্দ করেছিল তারা এখন তাদের সন্তানদের সঙ্গে এটি দেখছে। সিনেমাটি প্রজন্মের সংযোগে রূপ নিয়েছে এবং ভারতীয় সিনেমায় প্রেম কল্পনার মান নির্ধারণ করেছে।’

শাহরুখ ও কাজলের অনস্ক্রিন রসায়ন সহজ, প্রাকৃতিক এবং বিশ্বাসযোগ্য বলে দর্শকরা অনুভব করেন। কল্পনা, গান, সংলাপ এবং চিত্রায়ন সব মিলিয়ে এই সিনেমা ভারতীয় সিনেমার প্রেমের সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ হয়ে গেছে।

এলআইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।