নওয়াজউদ্দিনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগ

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৭ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

দিনকে দিন বাড়ছে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ও তার স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকির দাম্পত্য কলহ। অভিনেতার স্ত্রীর অভিযোগ ছিল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলে আলিয়া বলেছিলেন, নিজের বাড়িতে নিজেকেই গৃহবন্দি মনে হচ্ছে।

শুধু তা-ই নয় এবার আলিয়া সিদ্দিকির আইনজীবীর অভিযোগ অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির বিরুদ্ধেও। আলিয়াকে খাবার দেওয়া হয় না। অনুমতি নেই শৌচাগার ব্যবহারের। অভিনেতার পরিবারের পক্ষে তার স্ত্রী আলিয়ার বিরুদ্ধে থানায় জবর দখলের অভিযোগ দায়ের করেন।

শোনা যাচ্ছে, সমস্যার সূত্রপাত নাকি অভিনেতার মা মেহেরুন্নিসা সিদ্দিকির সঙ্গে। সম্পত্তি সংক্রান্ত জটিলতা। পুত্রবধূ শাশুড়ির মুখে মুখে তর্ক করায় সোজা থানায় চলে যান অভিনেতার মা। তারপর থেকে ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হচ্ছে পরিস্থিতি। এ প্রসঙ্গে অভিনেতার স্ত্রীর আইনজীবী বিস্ফোরক সব অভিযোগ তুলেছেন।

তিনি পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আলিয়ার আইনজীবীর কথায়, ‘প্রায় প্রতিদিনই আমার মক্কেলকে পুলিশ গ্রেফতারির হুমকি দিচ্ছে। আলিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, তার ছোট ছেলেকেও ছাড় দিচ্ছে না। এমনকি তারা প্রশ্ন তুলেছে নওয়াজের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে।’

অভিনেতার বাড়ি থেকে স্ত্রীর বিরুদ্ধে যেমন জবর দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে, তেমন আলিয়াও নওয়াজের পরিবারের বিরুদ্ধে ৫০৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিনেতার স্ত্রীর আইনজীবী সরাসরি নওয়াজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তিনি জানান, প্রায় সাত দিন ধরে স্ত্রী আলিয়া ও সন্তানদের খাবার দিচ্ছেন না। শৌচাগার ব্যবহারে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এমনকি চব্বিশ ঘণ্টা পুরুষ দেহরক্ষী দ্বারা পরিবেষ্টিত আলিয়া ও তার সন্তানরা। ২০২০ সালে নওয়াজ এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন আলিয়া।

জানিয়েছিলেন, স্বামী কোনো দিন গায়ে হাত না তুললেও তার ভাই শামাশ সিদ্দিকির কাছে প্রহৃত হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই আলাদাই থাকতেন তারা। কিন্তু মত পাল্টান আলিয়া। ২০২১ সালে নওয়াজের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন আলিয়া। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবারও তাদের দাম্পত্য কলহ বেড়েই চলছে।

এমএমএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।