এন্ড্রু কিশোরের জন্ম ও রণেশ দাশগুপ্তের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৯ এএম, ০৪ নভেম্বর ২০২২

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

৪ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার। ১৯ কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

এন্ড্রু কিশোর
১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছয় বছর বয়স থেকে সংগীতের তালিম নেওয়া শুরু করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি রাজশাহী বেতারে নজরুল, রবীন্দ্র, লোকসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান শাখায় তালিকাভুক্ত হন। তিনি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, যেজন্য তিনি ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামে পরিচিত। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’ প্রভৃতি। চলচ্চিত্রের গানের জন্য আরও সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি পাঁচবার বাচসাস পুরস্কার ও দুইবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন।

রণেশ দাশগুপ্ত
একজন বাংলাদেশি সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংগ্রামী রাজনৈতিক কর্মী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। ১৯১২ সালের ১৫ জানুয়ারি ভারতের আসামে জন্ম তার। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন। বিখ্যাত পত্রিকা ‘সোনার বাংলা’য় সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে তার সাংবাদিক জীবনের শুরু। তার লেখক জীবনের শুরু হয় এ সময়। তার উল্লেখযোগ্য রচনা হলো- প্রবন্ধগ্রন্থ: উপন্যাসের শিল্পরূপ, শিল্পীর স্বাধীনতার প্রশ্নে, ল্যাটিন আমেরিকার মুক্তি সংগ্রাম, আলো দিয়ে আলো জ্বালা, আয়ত দৃষ্টিতে আয়ত রূপ ইত্যাদি। ১৯৯৭ সালের ৪ নভেম্বর মারা যান।

ঘটনা
১৯৪৫- জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২- বাংলাদেশের সংবিধান জাতীয় সংসদে প্রণীত হয়।
১৯৭৩- বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় কুয়েত।
২০০৮- গঙ্গা নদীকে ভারতের জাতীয় নদী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

জন্ম
১৮১২- বাঙালি সংস্কৃত পণ্ডিত তারানাথ তর্কবাচস্পতি।
১৮৮২- বাঙালি সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক।
১৮৯৭- বাঙালি উদ্ভিদবিজ্ঞানী জানকী অম্মল।
১৯২৫- বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটক।
১৯২৯- মানব কম্পিউটার নামে পরিচিত ভারতীয় লেখক শকুন্তলা দেবী।

মৃত্যু
১৯৮২- ভারতের খ্যাতনামা শিল্পপতি এবং ভারী শিল্প স্থাপনের সূচনাকারী বীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
১৯৯৯- ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শাল।
২০১৪- সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ আলী সিদ্দীকী।
২০১৯- অবিভক্ত ঢাকার মেয়র, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা।

দিবস
জাতীয় সংবিধান দিবস।

কেএসকে/এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।