আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন
![আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/tex-2-20221109161439.jpg)
প্রতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই পাঁচ মাস জরিমানা ছাড়া বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। ৩০ নভেম্বর দেশে আয়কর দিবস হিসেবে পালিত হয়। এদিনই ব্যক্তি করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার শেষ তারিখ। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত আয়কর মেলায় করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যাদের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন রয়েছে তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। তবে রিটার্ন দাখিল করলেই যে আয়কর দিতে হবে তা নয়। কারো আয় যদি করযোগ্য না হয় তাহলে কর দেওয়ার প্রয়োজন নেই, শুধু রিটার্ন জমা দিলেই হবে।
তবে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। জেনে নিন সেগুলো-
>> আপনাকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় সম্পদের স্বচ্ছ বিবরণ দিতে হবে। আইনি ঝামেলা এড়াতে এটি খুবই জরুরি। ব্যক্তিগত আয়, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড, স্থাবর সম্পদের সুস্পষ্ট বিবরণ দেখাতে হবে। ভাবতে পারেন আপনি আপনার কোনো আয় বা গচ্ছিত সম্পদের খবর আয়কর রিটার্নে দেখাবেন না। তাহলে কিন্তু সেটি পরবর্তীতে অবৈধ হয়ে যাবে।
>> আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় কিছু প্রমাণ এবং কাগজপত্র দিতে হয়। চাকরিজীবী হলে বেতন এবং সুযোগ-সুবিধার বিবরণ, ব্যাংকে টাকা জমা থাকলে সুদ থেকে পাওয়া টাকার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এছাড়া সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা হলে সেটির ফটোকপি এবং মুনাফা বাবদ পাওয়া টাকার সার্টিফিকেট দিতে হবে। কোনো কাগজ, আয় বা সম্পদের প্রমাণ করে এমন কাগজপত্র বাদ দেবেন না। সব ধরনের কাগজপত্র সংরক্ষণ করে রাখুন।
>> সঠিকভাবে রিটার্ন ফরম পূরণ করুন। প্রয়োজনে সময় নিন। যদি অনলাইনে করেন তাহলে কয়েকবার চেক করে নিন। কোনো রকম তথ্য বাদ দেওয়া বা ভুল করা যাবে না। কোনো কিছু না বুঝলে একজন অভিজ্ঞ আয়কর আইনজীবীর পরামর্শ নিতে পারেন।
>> বিশেষ করে যারা প্রথমবার রিটার্ন জমা দিচ্ছেন তাদের বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সম্পদের বিবরণ দাখিলের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ থাকুন। কোনো কিছু লুকানোর চেষ্টা করবেন না। যদি আয়কর কর্তৃপক্ষের নজরে আসে তাহলে আপনি আইনগত ঝামেলায় পড়তে পারেন।
>> মনে রাখবেন, আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আপনি আয় যেমন দেখাবেন, তেমনি ব্যয়ও দেখাবেন। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য থাকাটা জরুরি। এক্ষেত্রে যদি আপনার জীবনযাত্রার ব্যয়, আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় তাহলে আইনগত ঝামেলায় পড়তে পারেন।
>> অনেকেই মনে করেন কৃষি থেকে আয় হয়তো ট্যাক্সের আওতায় পড়ে না। এজন্য রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় এটি উল্লেখ করেন না। মনে রাখবেন যেসব আয়ে ট্যাক্স দিতে হয় তার মধ্যে কৃষিখাত অন্যতম। কৃষি জমি থেকে শস্য বা মৎস্য উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতিবছর আপনি যে আয় করেন, সেখান থেকে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে বাকি টাকার উপর কর দিতে হবে। তাই রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় এটি উল্লেখ করে দিন।
কেএসকে/এএসএম