দিলদার ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্ম

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৫ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২৩

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

১৩ জানুয়ারি ২০২৩, শুক্রবার। ২৯ পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

দিলদার
বাংলাদেশি কৌতুক অভিনেতা। ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামে জন্ম তার। তিনি এসএসসি পাস করার পর পড়ালেখা ছেড়ে দেন। চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন ১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কেন এমন হয় চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। ধীরে ধীরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী কৌতুক অভিনেতার আসন দখল করে নেন তিনি। দিলদারের জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে ছিল যে, তাকে নায়ক করেই নির্মাণ করা হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি চলচ্চিত্র। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘সুন্দর আলী জীবন সংসার’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তিনি ২০০৩ সালে সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে তুমি শুধু আমার চলচ্চিত্রের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত একজন প্রথিতযশা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। ১৯৫৭ সালের ১৩ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার ঘরানার সংগীতের একজন বহুমুখী প্রতিভা হিসেবে বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। বাংলাদেশ ও ভারতে তার বহুসংখ্যক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য কিছু অ্যালবাম- স্বপ্নের আবেশে, সকাল সাঝে, ভোরের আকাশে, লাগুক হাওয়া, আপন পানে চাহি, প্রাণ খোলা গান, এলাম নতুন দেশে, ছিন্নপত্র, কবি প্রণাম ইত্যাদি। সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে কাজের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার, বঙ্গভূষণ পদক, ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, পশ্চিমবঙ্গের সংগীত সম্মান পুরস্কার, আনন্দ সংগীত পুরস্কার, সিটি ব্যাংক এনএ-এর গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড।

ঘটনা
১৭৬১- পানিপথের ৩য় যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৭২- শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৭২- বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মিয়ানমার।
১৯৭২- বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও কুচকাওয়াজ সংগীত নির্ধারণ (দেশের মানচিত্র সংবলিত পতাকা অত্যন্ত জটিল এবং সাধারণ লোকের পক্ষে এর সঠিক নমুনা তৈরি অসুবিধাজনক বিধায় এই পরিবর্তন আনা হয়, ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত এই গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্ধারণ ও কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘চল চল চল’ গানটির ২১টি লাইন কুচকাওয়াজ সংগীত হিসেবে নির্ধারণ করে)।

জন্ম
১৮৮৯- ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বিশিষ্ট প্রবন্ধ লেখক নলিনীকান্ত গুপ্ত।
১৮৯৪- ভারতীয় বিপ্লবী, সৈনিক, ভূপর্যটক ও ভ্রমণকাহিনি লেখক রামনাথ বিশ্বাস।
১৯৩৮- বাঙালি কবি, লেখক এবং শিক্ষাবিদ নবনীতা দেবসেন।
১৯৪৫- বাংলাদেশি কৌতুক অভিনেতা দিলদার।
১৯৫৩- বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও লোকসাহিত্য বিশারদ আবুল আহসান চৌধুরী।
১৯৫৭- রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

মৃত্যু
১৮৯৫- প্রতাপচন্দ্র রায়, বাঙালি সাহিত্যসেবী ও রামায়ণ মহাভারত সহ বহু পুরাণ গ্রন্থের অনুবাদক।
১৯০৭- কবি ও সাংবাদিক কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
১৯৪১- আইরিশ কথাসাহিত্যিক ও কবি জেমস জয়েস।
১৯৫৯- ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ অভিধান সংকলক হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৬৩- ভারতে ফলিত গণিতের জনক বাঙালি বিজ্ঞানী নিখিলরঞ্জন সেন।

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।