আজকের এই দিনে

শাহনাজ রহমতুল্লাহর প্রয়াণ দিবস

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৪ এএম, ২৩ মার্চ ২০২৩

শাহনাজ রহমতুল্লাহ ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি সংগীত শিল্পী। তিনি দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার নাম ছিল শাহনাজ বেগম। আবুল বাশার রহমতুল্লাহর সঙ্গে বিয়ের পর নাম বদলে হন শাহনাজ রহমতুল্লাহ।১৯৫২ সালের ২ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতার নাম এম ফজলুল হক ও মাতার নাম আসিয়া হক। শাহনাজের ভাই আনোয়ার পারভেজ সুরকার ও সংগীত পরিচালক এবং আরেক ভাই জাফর ইকবাল ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও গায়ক।

তিনি গান শিখেছেন গজল সম্রাট মেহেদী হাসানের কাছে। ১৯৬৩ সালে ১০ বছর বয়সে ‘নতুন সুর’ নামক চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দেওয়ার মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৬৪ সালে প্রথম টেলিভিশনে তার গাওয়া গান প্রচারিত হয়। তিনি গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আলাউদ্দিন আলী, খান আতা প্রমুখের সুরে গান গেয়েছেন। পাকিস্তানে থাকার সুবাদে করাচী টিভিসহ উর্দু ছবিতেও গান করেছেন।

তবে তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন দেশাত্মবোধক গানের জন্য। তার উল্লেখযোগ্য গানসমূহের মধ্যে রয়েছে এক নদী রক্ত পেরিয়ে, একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে, একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, আমায় যদি প্রশ্ন করে, যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, আমার দেশের মাটির গন্ধে, যদি চোখের দৃষ্টি, সাগরের তীর থেকে, খোলা জানালা, পারি না ভুলে যেতে, ফুলের কানে ভ্রমর এসে, আমি তো আমার গল্প বলেছি, আরও কিছু দাও না, একটি কুসুম তুলে নিয়েছি ইত্যাদি।

এক নদী রক্ত পেরিয়ে, একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে, একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল- এ তিনটি গান বিবিসির একটি জরিপে সর্বকালের সেরা বিশটি বাংলা গানের তালিকায় স্থান পায়। শাহনাজ রহমতুল্লাহর চারটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।

১৯৯২ সালে তিনি একুশে পদক এবং ১৯৯০ সালে ছুটির ফাঁদে চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও পেয়েছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

কেএসকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।