খুঁজে নিন শীতের ফুল

ফুল সৌন্দর্য ও পবিত্রতার প্রতীক। ফুলকে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ফুলের বাগান ও নার্সারি। এছাড়া স্থান স্বল্পতার কারণে অনেক ফুলপ্রেমী টবেও ফুল চাষ করেন। শহরের বাসার বারান্দা, ছাদ বা প্রাঙ্গণের অল্প জায়গাটুকুতেও অনায়াসে ফুল চাষ সম্ভব।
যে ধরনের ফুল
শীতকালীন ফুলগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গাঁদা, ডালিয়া, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, সূর্যমূখী, কসমস, পপি, গাজানিয়া, স্যালভিয়া, ডায়ান্থাস, ক্যালেন্ডুলা, পিটুনিয়া, ডেইজি, ভারবেনা, হেলিক্রিসাম, অ্যান্টিরিনাম, ন্যাস্টারশিয়াম, লুপিন, কারনেশন, প্যানজি এবং অ্যাস্টার ইত্যাদি। কিছু ফুলের আবার বিভিন্ন ধরনের জাতও দেখা যায়।
প্রাপ্তিস্থান
দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা নার্সারিতে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চারা বা গাছ পাওয়া যায়। রাজধানীর আগারগাঁও, বনানী, শেকৃবি, মোহাম্মদপুর, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে নানা রকম ফুলগাছের নার্সারি বা বিক্রয়কেন্দ্র।
চাষ ও পরিচর্যা
শীতকালীন ফুলের বীজ বপনের উপযুক্ত সময় অক্টোবর-নভেম্বর মাস। টবসহ চারাও কিনতে পাওয়া যায়। সাধারণত ৮ থেকে ১২ ইঞ্চি মাপের টবই যথেষ্ট। টবের মাটির সঙ্গে জৈব সার বা কম্পোস্ট সার পর্যাপ্ত পরিমাণে মেশাতে হয়। সাবধানতার সঙ্গে চারা রোপণ করে ঝাঁঝর দিয়ে উপর থেকে বৃষ্টির মতো পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। যাতে গাছ এবং পাতা উভয়ই ভেজে। প্রয়োজনে হেলে পড়া গাছকে লাঠি পুঁতে তার সঙ্গে বেঁধে দাঁড় করিয়ে দিতে হবে। পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রয়োজনে কৃষিবিদের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।
এখনই সময়
রকমভেদে গাছগুলো মার্চ মাস পর্যন্ত ফুল দেয়। ফুল চাষ করে অনেকেই স্বচ্ছলতার মুখ দেখছে। আজকাল বিদেশেও ফুল রপ্তানি হচ্ছে। যা থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। তাই এখনই উপযুক্ত সময় ফুলচাষী বা ফুলপ্রেমীদের তৎপর হয়ে ওঠার।
এসইউ/জেআইএম