বহুগামিতায় চারগুণ বাড়ে হৃদরোগ!


প্রকাশিত: ০২:০৭ পিএম, ০৪ মে ২০১৫

বহুগামিতার ফলে পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা চারগুণ বেড়ে যায়! সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক সমীক্ষায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ওই সমীক্ষায় জানা গেছে যে, স্ত্রীর সংখ্যা ও করোনারি আর্টারি ডিজিজ (সিএডি)-র প্রত্যক্ষ সরাসরি যোগ রয়েছে।

সৌদি আরবের জেদ্দায় কিং ফয়সাল হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টারের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ আমিন দৌলাহ জানিয়েছেন, যারা বহুগামিতায় আসক্ত, তারা এক সঙ্গে দুই থেকে চার স্ত্রীর সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপন রেখে চলেন। স্ত্রীরা বিভিন্ন বাড়িতে থাকেন। এক ছাদের তলায় একসঙ্গে বসবাস করেন না।

সমীক্ষাটি দুই দেশের পাঁচটি প্রধান হাসপাতালের রোগীদের নিয়ে করা হয়েছে। সেখানে ৬৮৭ জন বিবাহিত পুরুষের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হয়, যাদের গড় বয়স ৫৯। জানা গেছে, তাদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ মধূমেহর শিকার।

এছাড়া, ৫৭ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপ ও ৪৫ শতাংশ রোগীর পূর্বে সিএডির অভিজ্ঞতা রয়েছে। রোগীদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের (প্রায় ৬৮ শতাংশ) একজন স্ত্রী, ১৯ শতাংশের দুজন স্ত্রী, ১০ শতাংশের তিনজন স্ত্রী এবং ৩ শতাংশের চারজন স্ত্রী রয়েছে।

গবেষণায় উঠে এসেছে, যাদের একাধিক স্ত্রী বর্তমান, তারা বয়সে প্রবীণ, গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন, উচ্চ আয় করেন এবং সর্বোপরি করোনারি ধমনীর বাইপাস অস্ত্রোপচার হয়েছে।

দৌলাহ জানান, গ্রামাঞ্চলে বহুবিবাহ বহুল প্রচলিত। কারণ, সেখানকার সংস্কৃতি এ প্রথাকে অনুমোদন করে। তাছাড়া, সেখানের অধিকাংশ মানুষের খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয়। চিকিৎসকদের মতে, যাদের একাধিক স্ত্রীর দায়িত্ব নিতে হয়, স্বাভাবিকভাবেই তাদের অধিক উপার্জনও করতে হয়। অনেক সময় অর্থ উপার্জন করতে তাদের শহরে রোজ যাতায়াত করতে হয়। ফলে বেশি চাপ নিতে হয়। শুধু শারীরিক চাপ নয়, প্রায় সব ক্ষেত্রেই জড়িয়ে রয়েছে অসম্ভব মানসিক চাপও।

সব সমীকরণকে যুক্ত করে গবেষকদল দেখেন যে, যে ব্যক্তিরা বহুগামিতায় আসক্ত, অর্থাৎ যাদের একাধিক স্ত্রী রয়েছে, তাদের সিএডিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪.৬ গুণ বেড়ে যায়।

দৌলাহ জানান, বহুগামিতার ফলে স্বামীদের ওপর আর্থিক-মানসিক বোঝা চাপে। যেমন, স্ত্রীর সুষ্ঠু ভরণপোষণ, গৃহ-নির্মাণ, খাদ্যের সংস্থানের খরচ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কারণ, নিয়মানুসারে, প্রত্যেক স্ত্রীকেই সম-মর্যাদা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

বিএ/আরআইপি

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।