করোনায় মৃতদের ৪৩ শতাংশ দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছিলেন
দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর (১৮ মার্চ) রাজধানীর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৪২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৬৫৯ জন (৭৬ দশমিক ১৮ শতাংশ) এবং নারী এক হাজার ৭৬৯ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৮২ শতাংশ)।
বয়স বিবেচনায় করোনায় মোট মৃতদের মধ্যে চার হাজার ৪৩ জনের বয়স ষাটোর্ধ্ব (৫৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ)। করোনাভাইরাসহ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাদের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন ও নারী ৭ জন। ৩০ জনের মধ্যে ৪৩ শতাংশ (১৩ জন) ব্যক্তি কোভিডসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তাদের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপ, চারজন ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন, একজন কিডনি রোগ/সিকেডি ও ডায়াবেটিস, তিনজন উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে, একজন উচ্চ রক্তচাপ ও হাইপোথাইরয়েড, একজন হাইপারটেনশন ও অ্যাজমা, একজন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগ এবং একজন উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের রোগে ভুগছিলেন।
বয়স বিবেচনায় করোনায় মৃত মোট সাত হাজার ৪২৮ জনের মধ্যে চার হাজার ৪৩ জনের বয়স ষাটোর্ধ্ব (৫৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ)। এছাড়া পঞ্চাশোর্ধ্ব এক হাজার ৮৮৭ জন (২৫ দশমিক ৪০ শতাংশ), চল্লিশোর্ধ্ব ৮৭৬ জন (১১ দশমিক ৭৯ শতাংশ), ত্রিশোর্ধ্ব ৩৭২ জন (পাঁচ দশমিক শূন্য এক শতাংশ), বিশোর্ধ্ব ১৫৯ (দুই দশমিক ১৪ শতাংশ), দশোর্ধ্ব ৫৭ জন (শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ) এবং দশ বছরের নিচে শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এমইউ/এমএসএইচ