ওমিক্রনে সংক্রমণ তীব্র হলেও মৃত্যুঝুঁকি কম
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে নতুন ধরন ওমিক্রনে মৃত্যুঝুঁকি কম। তবে নতুন ধরনটিতে সংক্রমণের তীব্রতা অনেক বেশি।
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। সম্প্রতি দেশটিতে এক হাজার রোগীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে যে পরিমাণ অক্সিজেন থেরাপি প্রয়োজন হয়েছিল, সে তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন থেরাপি পাঁচগুণ কম প্রয়োজন হচ্ছে। এছাড়া ডেল্টা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের মধ্যে ৩০ শতাংশের বেশি রোগীর আইসিইউ প্রয়োজনে হলেও ওমিক্রন আক্রান্তদের ১৮ শতাংশ রোগীর আইসিইউ প্রয়োজন হচ্ছে। তবে পুরুষদের তুলনায় নারীরা ওমিক্রনে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
রোববার (২ জানুয়ারি) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন এসব তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা কার্যকর হলেও তা শতভাগ কার্যকর নয়। যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন ব্যক্তিবিশেষে টিকার কার্যকারিতা কমে তারাও অনেকে ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারেন। আফ্রিকান জার্নালে দুই ডোজ টিকাগ্রহীতাদের বোস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ডা. রোবেদ আমিন আরও বলেন, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সাতজন ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। তবে নতুন এ ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত শিষ্টাচার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিশেষত মাস্ক পরা (মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যে মাস্ক ব্যবহার হয়), সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও ঘন ঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।
এমইউ/এমকেআর/জেআইএম