এক সপ্তাহে সংক্রমণ বেড়েছে ১৬৯ শতাংশ, কমেছে মৃত্যু
গত এক সপ্তাহে (৫ থেকে ১১ জানুয়ারি) করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকহারে বেড়েছে। এ সময়ে নতুন রোগী শনাক্তের হার ১৬৯ শতাংশ বেড়েছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় করোনায় মৃতের হার ২০ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে করোনায় মারা গেছেন ২০ জন। তার আগের সপ্তাহে মারা যান ২৫ জন।
বুধবার (১২জানুয়ারি) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন এ তথ্য জানান।
চলতি বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়াারি) থেকেই করোনার সংক্রমণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ডিসেম্বর মাসে মাত্র চার হাজার ৫৮৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হলেও চলতি মাসের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ৮৫০ জন। চলতি মাসে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় ঢাকায় ১২ দশমিক ৮ শতাংশ ও রাঙ্গামাটিতে ১০ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সম্প্রতি নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়লেও আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।
এদিকে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেখানে সংক্রমণের উচ্চঝুঁকি, মধ্যম ঝুঁকি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঢাকা ও রাঙ্গামাটি জেলা সংক্রমণের রেড জোন অর্থাৎ উচ্চঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে ৬ জেলা এবং কম ঝুঁকি অর্থাৎ সবুজ জোনে রয়েছে দেশের ৫৪ জেলা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উচ্চঝুঁকিতে থাকা ঢাকায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং রাঙ্গামাটিতে শনাক্তের হার ১০ শতাংশ। হলুদ জোন অর্থাৎ মধ্যম ঝুঁকির তালিকায় থাকা জেলাগুলো হলো- যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নাটোর ও রংপুর। সংক্রমণের গ্রিন জোন বা কম ঝুঁকিতে রয়েছে ৫৪ জেলা।
এমইউ/কেএসআর/জিকেএস