জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিংয়ে নেমেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০২:৫০ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২২
করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় জনসচেতনতায় মাইকিংয়ে নেমেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন

গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামে হু হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই ভাঙছে আগের দিনের রেকর্ড। হাসপাতালেও বাড়ছে করোনা রোগী। তবে দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সচেতনতার মাত্রা বাড়ছে না জনসাধারণের মধ্যে।

আগের মতো মাস্কবিহীন চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে লোকজনকে। হোটেল-রেস্তোরাঁ, গণপরিবহন, বিনোদনকেন্দ্র কিংবা অন্যান্য জনসমাগমস্থলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যাচ্ছে না। তাই করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির এই সময়ে জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিংয়ের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এতেও সচেতনতা তৈরি না হলে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরের আটটি পয়েন্টে সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। এছাড়াও হ্যান্ডমাইক দিয়ে নগরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে। গত দুদিন ধরে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। একই কার্যক্রম চলবে আরও কয়েকদিন। মাইকিংয়ে জনসাধারণকে উদ্দেশ্য করে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সরকারের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

ctg1

নির্দেশনাগুলো হলো-
১. দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা ও হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরকে হবে।
২. রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনা টিকার সনদ দেখাতে হবে।
৩. ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সব ছাত্রছাত্রীকে মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পর টিকা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৪. সবধরনের যানবাহনের চালক-সহকারীর অবশ্যই করোনা টিকার সনদ থাকতে হবে।
৫. করোনা আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সবধরনের সভা-সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।

ctg1

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পীযুষ কুমার চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, শুরুতে মাইকিং করে সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে এবং সরকারের বিধিনিষেধ লোকজনকে জানানো হচ্ছে। এসবের পাশাপাশি মাস্কও বিতরণ করা হচ্ছে। এতেও যদি লোকজন সচেতন না হয়, তবে জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে আজ সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৯৩০ জন। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো এক লাখ আট হাজার ৩৭৬ জনে এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ৩৪২ জনে।

মিজানুর রহমান/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।