৪ কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে কৃমিনাশক ওষুধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ১৬ মার্চ ২০২২
২৬ তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা

২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কৃমি নির্মূলের লক্ষ্যে ৫-১৬ বছর বয়সী চার কোটি শিশুকে এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। এ লক্ষ্যে আগামী ২০ মার্চ থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে ২৬তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পালিত হবে।

বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৬তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রমের উদ্যোগে কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পালিত হবে।

এতে বলা হয়, সারাদেশের প্রায় এক লাখ ২০ হাজার প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (সরকারি, বেসরকারি, ফরমাল, নন-ফরমাল স্কুল, মাদরাসা, মক্তব) ও প্রায় ৩৩ হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিদ্যালয়, মাদরাসা) এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক ছাড়াও স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খোরশীদ আলম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহমেদুল কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ৫-১১ বছর বয়সী সব শিশুকে ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ১২-১৬ বছর বয়সী সব শিশুকে এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ (মেবেন্ডাজল বা ভারমন্স ৫০০মি:গ্রা:) ভরা পেটে সেবন করানো হবে। এছাড়া কৃমির পুনঃসংক্রমণ রোধকল্পে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যশিক্ষা দেওয়া হবে।

সভায় জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কৃমির সংক্রমণ বয়স্ক মানুষের তুলনায় শিশুদের মধ্যে বেশি হয়। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে কর্মসূচিটি প্রথমে ২০০৫ সালে তিন জেলায় নেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে জুন ২০০৭ পর্যন্ত ১৬ জেলায়, মে ২০০৮ পর্যন্ত ২৪ জেলায় ও নভেম্বর ২০০৮ থেকে ৬৪টি জেলায় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমটি সম্প্রসারিত করা হয়।

এসময় আরও জানানো হয়, শিশুদের মধ্যে ওষুধ সেবনের হার প্রতি রাউন্ডেই ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ রয়েছে। ২০০৫ সালে শিশুদের মল পরীক্ষায় কৃমির উপস্থিতি ৮০ শতাংশ পাওয়া যায়, যা ২০১৮-২০১৯ সালে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

এসএম/একেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।