হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মানোন্নয়নে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মানোন্নয়নে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন এবং এ বিষয়ে উচ্চতর গবেষণার জন্য মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা।
শুক্রবার (১৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এসব দাবি করেন।
তাদের অনান্য দাবিগুলো হলো- হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের নামের পূর্বে ডাক্তার উপাধি লেখার ব্যবস্থা রাখা, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা আইন ২০২১ শিগগির পাশ করা, জাতীয় রাজস্ব বাজেটের ২৫ শতাংশ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা উন্নয়নে বরাদ্দ দেওয়া, হোমিওপ্যাথি কাউন্সিল গঠন, আমদানিকৃত ওষুধ ও কাঁচামালের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স বাতিল করা।
এছাড়াও তারা আরও দাবি জানান, ডিএইচএমএস কোর্সের মান নির্ধারণ এবং উন্নত শিক্ষার ব্যবস্থা করা, ডিএইচএমএস এবং বিএইচএমএস চিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া, প্রতিটি বিভাগে সরকারিভাবে হোমিওপ্যাথি কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করাসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নিয়োগের দাবি জানান তারা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড গঠন করেন এবং এই খাতে আর্থিক বরাদ্দ প্রদান করেন। কিন্তু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার উন্নয়নের পথে বেশ কিছু সমস্যা বাধা হয়ে আছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন সংগঠন দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের দাবিসমূহ বাস্তবায়ন হলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার উন্নয়ন হবে। স্বল্পমূল্যে মানুষ সুচিকিৎসা পাবে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে।
ডা. মো. নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ডা. শেখ ফারুখ এলাহী, ডা. এ কে এম শহীদ উল্লাহ্, ডা. রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, ডা. মো. তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এএএম/কেএসআর/এমএস