‘রেফারেল সিস্টেম না থাকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৩ পিএম, ০২ আগস্ট ২০২২
ঢাবিতে হেলথ ইকোনমিকস স্টাডি অ্যালায়েন্সের সেমিনার

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আগের তুলনায় কিছুটা এগোলেও সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহে এখনো অনেক পিছিয়ে। কোনো রেফারেল সিস্টেম না থাকায় পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। এতে করে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জন করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন এইমস ল্যাবের পরিচালক ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ মামুন।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটে হেলথ ইকোনমিকস স্টাডি অ্যালায়েন্সের ‘বাংলাদেশের সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ডিজিটাল ইকো সিস্টেম গঠন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করতে পারলেই ৮০ শতাংশ জনগণকে পূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার ধারণায় ২০৩০ সালের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে ও সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। এতে চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে কেউ দরিদ্র হয়ে পড়বেন না।

খন্দকার আব্দুল্লাহ মামুন বলেন, সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের (এসডিজি) ১৭টি উদ্দেশ্যের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু সে অনুযায়ী কতটা হচ্ছে সেটাই দেখার বিষয়। এখনো চিকিৎসার মোট ব্যয়ের ৭২ শতাংশই যাচ্ছে ব্যক্তির পকেট থেকে। অর্ধেকের বেশি খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই। এসডিজি অর্জন করতে হলে এ ব্যয় শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালের মাঝে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যদিও এখনো এ নিয়ে কাজই শুরু হয়নি। তাই অবশিষ্ট ১৩ বছরের মধ্যে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব কি না তা নিয়ে শংকা তৈরি হয়েছে। তাই দেশে শিগগির ডিজিটাল হেলথ ইকো সিস্টেম চালু করা প্রয়োজন।

ডিজিটাল হেলথ নিয়ে আলোচনাকালে বেসরকারি উদ্যোগে কীভাবে ডিজিটাল স্বাস্থসেবা নিয়ে কাজ করছে তা তুলে ধরেন অলওয়েল সিস্টেম স্পেসিফিকেশন ইঞ্জিনিয়ারের সহপ্রতিষ্ঠাতা এম এম আফতাব হোসেইন বলেন, বড় ধরনের সমস্যা বা ইমারজেন্সি কেস ছাড়া রোগীদের হাসপাতালে আসার প্রয়োজন নেই।

‘বরং এমন একটি সিস্টেম তৈরি করা প্রয়োজন যেখানে ডাক্তার ভিডিও কনফারেন্সে রোগীর প্রাথমিক অবস্থা শনাক্ত করবেন। প্রয়োজনে ডাক্তার রোগীর বাসায় যাবেন, সেখানেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এ ধরনের ডিজিটাল ব্যবস্থায় রোগীর তথ্য সংরক্ষণ করা সুবিধা হবে। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জনে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিকল্প নেই।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাবির স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ।

এএএম/এসএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।