শিশুদের মধ্যে প্রথম টিকা নিলো নীধি নন্দিনী
৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের মধ্যে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নীধি নন্দিনী।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনা টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের উপস্থিতিতে প্রথম টিকা নেয় এই শিক্ষার্থী।
এরপর একে একে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা টিকা নিয়ে যায়। টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলো- দ্বিতীয় শ্রেণির সৌম্য দ্বীপ দাস, চতুর্থ শ্রেণির মো. আবু সায়েম ফাহিম, পঞ্চম শ্রেণির বিকাশ কুমার সরকার, তৃতীয় শ্রেণির সাইমুন সিদ্দিক, তৃতীয় শ্রেণির মো. আরাফাত শেখ, আকিব আহমেদ সায়ন, চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহমুদ হোসেন ও আল-আমিন।
এছাড়াও টিকা নেবে তৃতীয় শ্রেণির শামীমা সিদ্দিকা তাসিন, রুপা আক্তার, হুমায়রা আফরিন তামান্না, চতুর্থ শ্রেণির তাসলিমা আক্তার, সানজিদা আক্তার, মোছা. নুসরাত জাহান আরিন এবং প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী হীরা আক্তার।
আবুল বাশার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শ্যামলী রানী মালাকার জাগো নিউজকে জানান, আমাদের বিদ্যালয়কে প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য নির্বাচন করায় আমি খুবই খুশি। আমাদের প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৬ জন শিক্ষার্থী টিকা নিতে এসেছে। ওরা খুবই শক্ত মন মানসিকতার। টিকা নিতে তারা ভয় পাবে না।
‘শিশুরা সামাজিক দূরত্ব মানছে না। এতে তাদের জন্যই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন করোনা টিকা। তারা খাওয়া-দাওয়া ও খেলাধুলার সময় একসঙ্গেই থাকে। এতে তাদের জন্য সবচেয়ে উপকারী হবে করোনা টিকা।’
কর্মসূচির পরিচালক শামছুল হক জাগো নিউজকে জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের করোনা টিকা মজুত আছে ৩০ লাখ। এ মাসের ২৮ তারিখের মাঝে আরও ৭০ লাখ টিকা আমাদের হাতে আসবে। আমরা একসঙ্গে অনেক বেশি করোনা টিকা আনবো না। টিকার চাহিদা দেখেই টিকা আনা হবে।
পরবর্তী সময়ে ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হবে শিশুদের প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম। এর দুইমাস পর দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ।
এএএম/জেএস/জিকেএস