মিষ্টিমুখ করিয়ে স্বাচিপ নতুন সভাপতি-মহাসচিবকে বরণ

আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নতুন সভাপতি ডা. জামালউদ্দিন চৌধুরী ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসানকে বরণ করে নিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার পর মিষ্টিমুখ করিয়ে নবঘোষিত সভাপতি ও মহাসচিবকে চেয়ারে বসিয়ে দেন।
বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল জাগো নিউজকে বলেন, স্বাচিপের নেতাকর্মীরা নেত্রীর সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা মেনে নতুন সভাপতি ও মহাসচিবকে বরণ করে নিয়েছেন। আমি নিজে উপস্থিত থেকে তাদের মিষ্টিমুখ করিয়ে চেয়ারে বসিয়ে দিয়েছি।
দীর্ঘ সাত বছর পর আজ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাচিপের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীসহ সারাদেশের স্বাচিপের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সম্মেলনস্থল ছিল আনন্দ মুখরিত। সম্মেলন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাচিপের নতুন সভাপতি ও মহাসচিবের নাম ঘোষণা করেন।
স্বাচিপের নতুন নেতৃত্বে যারা আসবেন বলে ধারণা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে নির্বাচিত নতুন সভাপতি ও মহাসচিব নাম আলোচনায় থাকলেও তেমন জোড়াল ছিল না। এ দুজনের নাম ঘোষণায় অনেকেই অবাক হয়েছেন।
স্বাচিপের নেতৃত্বে যারা এলেন তারা কারা?
নির্বাচিত দুজনই বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের অনুসারী। ৬২ বছর বয়সী জামালউদ্দিন চৌধুরী একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন।
সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি স্বাচিপের সহ-সভাপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি বিএমএর কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্রাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমপিএ) মহাসচিব, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) কাউন্সিলর ও বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল। ন্যাশনাল কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট কমিটি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সদস্য। এছাড়াও তিনি বিএমআরসি জার্নাল এডিটরিয়াল কমিটি ও করোনা ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন কমিটির সদস্য।
এছাড়া অতীতে তিনি ছাত্রলীগে সহ-তথ্য, গবেষণা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন। আওয়ামী লীগে সহ-সম্পাদক, কেন্দ্রীয় বিভাগীয় উপ-কমিটিতে (২০০২-০৫) এবং আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সাব-কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (চট্টগ্রাম-৩) সন্দ্বীপ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া স্বাচিপের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম-মহাসচিব এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদে ভিপি, দপ্তর সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন।
মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন ১৯৯৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ২০০৮ সালে বিএসএমএমইউ’র অধীনে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে এমএস ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগে কর্মরত। বর্তমানে তিনি বিএমএর যুগ্ম মহাসচিব ও স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি ঢামেকে ৯১-৯৩ সালে ছাত্রলীগের মহাসচিব ও ৯৫ সালে ঢামেকে স্বাচিপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীসময়ে তিনি বিএমএ ও স্বাচিপের বিভিন্ন পদে ছিলেন।
এমইউ/আরএডি/এএসএম