শেখ হাসিনা বার্নে রোগীর চাপ বেশি, ঢামেকে চালু হলো ১৪ আইসিইউ

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢামেক প্রতিবেদক ঢামেক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৪ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০২৩
ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ১৪টি বেড উদ্বোধন করা হয়/ছবি: জাগো নিউজ

আগুনে পোড়া গুরুতর রোগীরা চিকিৎসা ছুটে যান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। প্রতিনিয়ত এ ইনস্টিটিউটে রোগী বাড়ছেই। বছরজুড়েই রোগীদের চাপ থাকে সেখানে। তবে তীব্র শীতে বার্ন ইনস্টিটিউটে রোগী বেশি থাকায় দুর্ভোগে পড়ছেন অনেকে।

মানবিক এ সংকট উত্তরণ এবং বার্ন ইনস্টিটিউটে চাপ কমাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আগুনে পোড়া রোগীদের জন্য ১৪টি আইসিইউ বেড বরাদ্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বেডগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নামে বার্ন ইনস্টিটিউট, শেখ হাসিনা বানানে এ কি হাল!

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানান, বার্ন ইউনিটে শিশু পেডিয়াট্রিক আইসিইউ ও এইচডিইউ সাধারণ বার্ন রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে আগে শিশু কোভিড রোগীদের রাখা হতো। যেহেতু দেশে করোনা সংকট কমে গেছে। তাই সেটা সাধারণ বার্ন রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, তীব্র শীতের কারণে বার্ন রোগীদের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে অতিরিক্ত রোগী আসছেন। ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে বিভিন্ন কারণে বার্ন রোগীরা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। আগের চেয়ে রোগীর সংখ্যা এখন তিনগুণ বেড়ে গেছে। এজন্য ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ১৪টি আইসিইউ বেড চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ সাদিয়াও চলে গেলেন, মৃত বেড়ে ৩

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র সরকার, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. শরমিন আক্তার, ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন প্রমুখ।

কাজী আল-আমিন/এএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।