বদলির ৪ মাসেও ঢাকা ছেড়ে নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি ৫ চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০০ পিএম, ২১ মে ২০২৩

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পাঁচ চিকিৎসককে বদলি করা হয় গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে। গত ১৮ জানুয়ারি এক বদলির আদেশে তাদের বর্তমান দায়িত্ব হস্তান্তর করে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়। এরপর কেটে গেছে চার মাস। নতুন কর্মস্থলে না যোগ দিয়ে উল্টো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বর্তমান কর্মস্থলে বহাল রাখার আবেদন জানিয়েছেন তারা। একই আবেদন জানিয়েছে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষও।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশ অমান্য করে এখনো তারা আগের দায়িত্ব পালন করছেন। বদলির আদেশপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা হলেন- নিয়মিত মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মহিব উল্লাহ, সহকারী সার্জন ডা. ফারজানা শারমীন শিমু, ডা. খন্দকার খাদিজা ফারহানা ফেরদৌস, ডা. ফারহানা রহমান ও ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস।

আরও পড়ুন>> এক কর্মস্থলে ৩ বছরের বেশি নয়, অনিয়মকারীদের বদলি প্রথম ধাপে 

বদলির আদেশে বলা হয়, বদলি করা পদগুলোতে কোনো কর্মকর্তা মুভ ইন না করা অবস্থায় থাকলে তিনি পরবর্তী পদায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে ন্যস্ত হবেন। (২) এই প্রজ্ঞাপন জারির দুই কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন, অন্যথায় তিন দিনের মাথায় সরাসরি অবমুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) শামিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকায় অবস্থান করার জন্য অধিকাংশ চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মকর্তারা আগ্রহী থাকেন। ঢাকার পদ ছাড়তে অনাগ্রহ থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। বদলির পর অনেকেই না যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় চিকিৎসকদের অনেক সময় চাপ প্রয়োগও করা লাগে, যা করার কথা না।

আরও পড়ুন>> স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতের দুর্নীতি রোধে ৩০ সুপারিশ

তিনি বলেন, বদলি করা এই পাঁচজন সম্প্রতি বদলি আদেশ বাতিল করার জন্য অধিদপ্তরে আবেদন জানিয়েছেন। চক্ষু বিজ্ঞান থেকেও থেকেও একই আবেদন জানানো হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কেন বদলি করা হয়েছে তা ডিজিকে জানিয়েছি। এখন মহাপরিচালক সিদ্ধান্ত দেবেন তাদের বদলি বহাল থাকবে কি না।

গোপালগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী জাগো নিউজকে বলেন, আমি এ হাসপাতালে বছরখানেক ধরে আছি। আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে কৃতজ্ঞ যে আবেদন করলে আমাকে লোকবল দিয়েছে। আমি বলে দেইনি কোন হাসপাতাল থেকে দিতে হবে। তখন অধিদপ্তর থেকে পাঁচজনকে দেওয়া হয়। তবে যে পাঁচজনকে বদলি করে এখানে দেওয়া হয়েছে তারা হাসপাতালে যোগ দেননি। পরে আমরা আবার আবেদন জানাই। তখন চারজন চিকিৎসক দেওয়া হয়। তারা এরই মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এখনো এ হাসপাতালে ৪৩টি চিকিৎসক পদ খালি আছে। এই মুহূর্তে ৪২ জন চিকিৎসক আছেন। এ নিয়ে আমার মোটামুটি কাজ চলে যাচ্ছে। খুব বেশি অসুবিধা হচ্ছে না। মেডিকেল অফিসাররা আউটডোরের রোগীদের দেখছেন এবং প্রয়োজনে জুনিয়র কনসালট্যান্ট কিংবা সহকারী অধ্যাপকের কাছে পাঠানো হচ্ছে।

এএএম/এএসএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।