পিসিওএস আক্রান্ত নারীদের ৭০ শতাংশই নির্ণয় হয় না

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) প্রজননক্ষম নারীদের একটি অন্যতম প্রধান হরমোন ও বিপাকজনিত সমস্যা। প্রতি ১০ জন নারীর একজন এ সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। মাসিক শুরু হওয়ার পর কিশোর বয়স থেকেই এর লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে। কিন্তু সামাজিক কারণে মেয়েরা তা প্রকাশ করতে পারে না। এ অবস্থায় হরমোন ও বিপাকজনিত এই সমস্যার প্রতিকার ও প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল ডায়াবেটোলজিস্ট অ্যান্ড অ্যান্ডোক্রাইনোলজিস্ট অব বাংলাদেশ (এসেডবি) আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানান।
বক্তারা বলেন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শতকরা ৭০ শতাংশ নারীর পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম রোগটি নির্ণয়ই হয় না। তবে এ রোগের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে আমাদের প্রত্যেকেই বিশেষ করে চিকিৎসক, রোগী, তথা জনসাধারণের অবগত হওয়া প্রয়োজন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এসেডবির প্রেসিডেন্ট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. ফরিদউদ্দিন।
বিশেষজ্ঞ প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ওজিএসবির সভাপতি প্রফেসর ডা. ফিরোজা বেগম।
সভাপতির বক্তব্যে এসেডবির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. মো. ফরিদউদ্দিন বলেন, হরমোনজনিত রোগ নিরাময়ের ক্লিনিক্যাল পার্টের সঙ্গে সোশ্যাল পার্টটা সবার ভালো করে জানতে হবে। চিকিৎকদের পাশাপাশি গণমাধ্যমও এই ধরনের রোগের চিকিৎসায় সর্বত্র সচেতনতা তৈরিতে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
এএএম/এমএইচআর/এমএস