কাশ্মীরে হামলার পর সীমান্তে কড়াকড়ি

বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক ক্ষতির শঙ্কায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

ধৃমল দত্ত
ধৃমল দত্ত ধৃমল দত্ত , পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ এএম, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় গত ২২ এপ্রিল ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়। এরপরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয় ভারত সরকার। এর মধ্যে সীমান্ত বন্ধ এবং সিন্ধু পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্তও রয়েছে। বর্তমানে ভারত-পাকিস্থান এই দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার মহদিপুর আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যি হয়। কিন্তু পহেলগামে হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে রীতিমতো কড়াকড়ি আরোপ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এতে ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকরা।

jagonews24.com

এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ভারত থেকে সুতাসহ বেশ কিছু পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধের তালিকা বেশ বড়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ডুপ্লেক্স বোর্ড, নিউজ প্রিন্ট, ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, গুড়ো দুধ, তামাক, রেডিও এবং টিভির যন্ত্রাংশ, ফার্মিকা শিট, সিরামিক পণ্য, সেনেটারি পণ্য, স্টিলের জিনিসপত্র, মার্বেল স্ল্যাব ও টাইলস এবং মিক্স ফেব্রিক।

এমন পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের যে কোনো সিদ্ধান্তের কারণে মহদিপুর আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরে বাণিজ্যে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকদের একাংশ।

মালদহ জেলার মহাদিপুর স্থলবন্দরে সিএনএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি তাপস কুন্ডু বলেন, এই চরম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে প্রভাব পড়তে পারে। সরকারকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।

মালদহ জেলার মহাদিপুর স্থলবন্দরের এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, আমাদের মাহাদিপুর স্থলবন্দর একটি শান্তিপূর্ণ জায়গা। যে ঘটনাটা পহেলগামে হয়েছে সেটা অত্যন্ত খারাপ ও নিন্দনীয় ঘটনা।

প্রসেনজিৎ ঘোষ আরও বলেন, এই ঘটনার প্রভাব যদি আমাদের এখানে পড়ে তাহলে এখানকার ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে এই স্থলবন্দরটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। তাই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং প্রশাসনের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। আমাদের বাণিজ্যে যেন কোনোরকম প্রভাব না পরে সে বিষয়ে আমাদের প্রশাসন তৎপর আছে।

jagonews24.com

স্থানীয় ব্যবসায়ী উত্তম ঘোষ বলেন, বর্তমান যা পরিস্থিতি যে কোনো মুহূর্তে আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং আমাদের ব্যবসায় ক্ষতিও হতে পারে।

মহাদিপুর স্থলবন্দরে সিএনএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অফিস ইনচার্জ অনুপ গুপ্ত বলেন, বিএসএফের তৎপরতা অনেক বাড়ানো হয়েছে। আমাদের এখানে বাণিজ্যের কোনোরকম সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু যদি সংঘাত শুরু হয় তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে ক্ষতি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আগে যে পরিমাণে বাংলাদেশের সঙ্গে এক্সপোর্ট হচ্ছিল সেই পরিমাণে এক্সপোর্ট হলে ভালো।

ডিডি/টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।