বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ২ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:২৯ পিএম, ০৪ মে ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা জব্দ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। রোববার (৪ মে) এ তথ্য জানিয়েছে বিএসএফ।

এক বিবৃতিতে তারা জানায়, গোপন খবরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩২ ব্যাটেলিয়ান বারানপুর সীমান্ত ফাঁড়ির জওয়ানরা জানতে পারেন, বানপুর গ্ৰাম এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে সোনা পাচার হতে পারে। সেই মোতাবেক নির্দিষ্ট স্থানে নজরদারি শুরু করে বিএসএফ। শনিবার সকালের দিকে তারা দেখতে পায়, তিনজন সন্দেহভাজন চোরাকারবারি ভারতের দিক থেকে সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে একটি ড্রেনের মধ্যে লুকিয়ে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন>>

একই সময়, আরেকজন সন্দেহভাজন চোরাকারবারিকে বাংলাদেশের দিক থেকে কিছু প্যাকেট ভারতীয় সীমান্তে ছুড়ে মারতে দেখা যায়।

ভারতীয় চোরাকারবারিরা সেই প্যাকেটগুলো তুলতে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোতায়েন থাকা বিএসএফের জওয়ানরা তাদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা করেন। বিএসএফের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা নিকটবর্তী ঘনবসতিপূর্ণ ফুলবাড়ি (বানপুর) গ্রামের দিকে দৌড়াতে শুরু করে।

ঘটনাস্থলের আশপাশে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র ব্যবহার না করে ধাওয়া করতে থাকেন। কিন্তু অনেক চেষ্টা করার পরেও তাদের ধরতে পারেননি।

পরে এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তিনটি প্লাস্টিক মোড়ানো প্যাকেট থেকে ১২টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। সেগুলোর মোট ওজন ১ কেজি ৬৬২ গ্ৰাম এবং আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬ হাজার ১৮০ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি টাকার বেশি)।

একই দিন, বিএসএফের ১৪৩ ব্যাটেলিয়নের বর্ডার আউটপোস্ট তারালির জওয়ানরা ১০ দশমিক ৮৩ কেজি রুপার অলংকারসহ এক ভারতীয় চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে। অলংকারগুলো একটি মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংকে লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। জব্দ করা রুপার আনুমানিক বাজার মূল্য ৮ লাখ ৩৬ হাজার রুপি।

উদ্ধার করা সোনার বিস্কুট এবং রুপার অলংকারগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে এবং সন্দেহভাজন চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ডিডি/কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।