ইসরায়েলি পত্রিকার দাবি

গাজায় ইসরায়েলের অবিস্ফোরিত বোমা থেকেই অস্ত্র বানাচ্ছে হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২১ পিএম, ০৯ মে ২০২৫
দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের একটি বাড়ি থেকে একটি অবিস্ফোরিত ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র অপসারণ করছেন হামাসের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা/ ২০২১ সালের ২০ মে তোলা ছবি/ এএফপি

গাজায় ইসরায়েলের ফেলে যাওয়া অবিস্ফোরিত বোমা থেকেই অস্ত্র তৈরি করছে ফিলিস্তিরেন স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এমনটাই দাবি করেছে ইসরায়েলের শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক হারেৎজ। ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিগুলোর দুর্বল নিরাপত্তার সুযোগ নিয়ে বহু অস্ত্রও হামাসের হাতে পৌঁছেছে বলে একটি নিরাপত্তা প্রতিবেদনে জানা গেছে।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর নিক্ষেপ করা প্রায় ৩ হাজার অবিস্ফোরিত বোমা বর্তমানে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের দখলে রয়েছে। সেগুলো দিয়ে তৈরি হচ্ছে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি)।

এই বিস্ফোরক দিয়ে ইসরায়েলি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি খান ইউনিসে এমন একটি বিস্ফোরণে ইসরায়েলি ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামাসের দাবি অনুযায়ী, এতে বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হয়।

হারেৎজের অর্থনৈতিক ক্রোড়পত্র দ্য মার্কার জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর নিক্ষিপ্ত বোমাগুলোর মধ্যে কখনো কখনো ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিস্ফোরিত হয়নি। জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনএমএএস) বলছে, গাজায় চালানো ৪০ হাজারেরও বেশি বিমান হামলার মধ্যে ৫ থেকে ১০ শতাংশ বোমা অবিস্ফোরিত রয়ে গেছে।

২০২৪ সালের শুরুতেই নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ নিশ্চিত হয়েছে যে, হামাস এই অবিস্ফোরিত গোলা থেকে নতুন অস্ত্র তৈরি করছে।

অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত ১০ শতাংশ গোলা বিস্ফোরিত হয় না। কিন্তু ইসরায়েলি গোলাগুলোর অনেকটাই যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পুরোনো মজুত, যার মধ্যে কিছু ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়কার। ফলে তা বিস্ফোরিত না হওয়ার হার ১৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এই বোমাগুলো থেকেই শত শত রকেট তৈরি সম্ভব।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের আগেও অনিয়মিতভাবে গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে, গাজায় হাজার হাজার টন অবিস্ফোরিত বোমা জমা হয়েছে।

সূত্র: হারেৎজ

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।