গাজার খান ইউনিস খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলের, না সরলে হত্যার হুমকি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৩ পিএম, ১৯ মে ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিশুদের চরম দুর্দশা। ফাইল ছবি: এএফপি

গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসে নতুন করে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির নির্দেশ জারি করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী খান ইউনিসের বাসিন্দাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, শহর ছেড়ে না গেলে তাদের হত্যা করা হবে। সোমবার (১৯ মে) এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

খবরে বলা হয়েছে, খান ইউনিসের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা এই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির আওতায় পড়েছে। প্রচণ্ড গোলাবর্ষণের মধ্যেই অনেক মানুষকে হাতে যা পেয়েছেন তা নিয়েই পালিয়ে যেতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন>>

ইসরায়েলি বাহিনী এসব ফিলিস্তিনিকে আল-মাওয়াসি এলাকায় সরে যেতে বলেছে। তবে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ঘোষিত আল-মাওয়াসিও ইসরায়েলি হামলার বাইরে নেই। গত রাতে ওই এলাকায় এক তাবুতে হামলায় একটি পরিবার নিহত হয়েছে। আল-মাওয়াসিতে বারবার হামলা হচ্ছে।

গত কয়েকদিন ধরে গাজা উপত্যকার উত্তরের অংশ, গাজা সিটি, নুসেইরাত, দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিসজুড়ে কামান গোলা, ড্রোন ও বিমান হামলার মাধ্যমে লাগাতার আক্রমণ চালানো হচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের জন্য কোথাও নিরাপদ আশ্রয় নেই—যেখানেই তারা যাচ্ছে, সেখানেই হামলার শিকার হচ্ছে।

গাজার দক্ষিণে এক ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৩০টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৩ হাজার ৩৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৩৪ জন। তবে গাজা সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা হাজারো মানুষ নিখোঁজ এবং তারা সম্ভবত মারা গেছেন। ফলে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।